শীতের সকালে পাখিদের ভিড়। ডোমকলে। ছবি: সাফিউল্লা বিশ্বাস
এ বছরের মতো কি শীতের অপমৃত্যু হল? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আপাতত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। ক্রমেই কমছে শীত। রাতেও শেষ পৌষের কনকনে শীতের আমেজ প্রায় উধাও। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে বলে আলিপুর হাওয়া অফিসের পুর্বাভাসে জানান হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যর বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ৩ ডিগ্রি বেশি।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরেই রাজ্য এই হাওয়া বদল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। মঙ্গলবার থেকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গেও। শিলাবৃষ্টিও হতে পারে হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর। এই বৃষ্টির ফলে রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে ১৬ জানুয়ারি থেকে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হবে বলে জানা গিয়েছে।
শীত কি ফিরবে? এর উত্তরে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা আবার কিছুটা স্বাভাবিক হবে। কমতে পারে রাত ও দিনে তাপমাত্রা।
এই মুহূর্তে দু’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অবস্থান করছে, একটি পূর্বদিকে সরছে এবং আর একটি রাজস্থান থেকে মধ্যপ্রদেশ বরাবর একটি ঘূর্ণাবর্তের চাদর তৈরি করে রেখেছে। এর ফলে বরফের চাদরে ঢেকেছে উত্তর ভারতের একাংশ। উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী, বদ্রীনাথে চলছে তুষারপাত। হিমাচলের সিমলা ও শ্রীনগরের উধমপুরে বরফ পড়ছে। অন্য দিকে রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভবনা তৈরি হয়েছে।