বরফের চাদরে ঢাকা টংলু—নিজস্ব চিত্র।
বিদায়বেলায় পাহাড়ে ঘুরে দাঁড়াল শীত। বরফের সাদা চাদরে মুখ ঢাকল দার্জিলিং। মঙ্গলবার রাতভর তুষারপাতের পরে বুধবার সকালে বরফে ঢেকে গিয়েছে টংলু, ধোতরের মতো পাহাড়ি গ্রামগুলির ঘরবাড়ি, পথঘাট। সান্দাকফু সংলগ্ন এলাকায় চলছে তীব্র তুষারপাত। তুষারপাতের পাশাপাশি বৃষ্টিও হয়েছে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তুষারপাতের জেরে মানেভঞ্জ থেকে টংলু, ধোরতে এবং স্থানীয় অন্যান্য অংশে যাওয়ার রাস্তা বুধবার সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।বুধবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তুষারপাত।
বিহার ও ঝাড়খণ্ডের উপরে অবস্থানকারী ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সোমবার থেকে হাল্কা থেকে মাঝারি ভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। আলিপুর আবহওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বুধবারও।
বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এদিনও আকাশ মেঘলা থাকবে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৯ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৫ %। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ০০২.৪ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আগামী তিন দিন বৃষ্টি রাজ্যের পাহাড় থেকে সমতলে
তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলে গেলেও শীতের শেষবেলায় এই তুষারপাতে বিস্মিত পাহাড়ের মানুষজনও। এখন পরীক্ষার মরসুম হওয়ায় স্বভাবতই পর্যটক কম পাহাড়ে। পাশাপাশি, তুষারপাতের সম্ভাবনা না থাকাতে উৎসাহীদেরও ভিড় বিশেষ নেই। অল্প সংখ্যক ভ্রমণার্থী যাঁরা আছেন, তাঁরা উপভোগ করছেন অপ্রত্যাশিত এই তুষারপাত।
আরও পড়ুন: ভরা বসন্তেও দফায় দফায় বৃষ্টি, বর্জ্রবিদ্যুতেরও পূর্বাভাস দিল আলিপুর
দার্জিলিঙের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে তীব্র তুষারপাত হয়েছে টংলু আর ধোতরে গ্রামে। প্রসঙ্গত সিঙ্গালিলা রেঞ্জের শৃঙ্গ টংলুর উচ্চতা ৩০৩৬ মিটার। শৃঙ্গের নামেই নামকরণ হয়েছে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে থাকা এই ছোট জনপদের। টংলুর মতোই সম্প্রতি পর্যটন মানচিত্রে উঠে এসেছে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া আর একটি গ্রাম ধোতরে। শীতের পড়ন্ত বেলায় আপাতত দুই গ্রামই এখন বরফের নীচে দিন গুনছে বসন্তের অপেক্ষায়।