গত বছর ডিসেম্বর মাসে শিলং গিয়ে উই কার্ড প্রকল্প শুরুর বিষয়ে আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে মেঘালয় সফরে গিয়ে একঝাঁক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে, যে লক্ষ্ণীর ভান্ডার দিয়ে সাফল্য এসেছিল সেই প্রকল্প মেঘালয়ে চালু করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “ক্ষমতায় এলে ‘উই কার্ড’ নামে প্রকল্পে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।” সেই প্রকল্প ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই সুফল দিতে শুরু করেছে বলে দাবি করল মেঘালয়ের তৃণমূল নেতৃত্ব।
আগামী ১৮ জানুয়ারি শিলং যাবেন মমতা। তার আগে তৃণমূল নেতৃত্ব ‘উই কার্ড’ প্রকল্প সাফল্যের মুখ দেখছে বলে দাবি করেছে। পরিসংখ্যান প্রকাশ করে তাঁদের দাবি, মাত্র এক মাসেই ‘উই কার্ড’-এ ৩ লক্ষ ১৪ হাজার মানুষ নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত বছর ১২ ডিসেম্বর মেঘালয়ের রাজধানী শিলং গিয়েছিলেন মমতা। সফরের দ্বিতীয় দিনে মেঘালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি সভাঘরে দলীয় কর্মীসভায় বক্তৃতা করেন তিনি। ক্ষমতায় এলে ‘উই কার্ড’ প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে জানিয়ে দেন, চাইলে মেঘালয়ের মা-বোনেরা এখন থেকেই এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন। সেই মর্মে গত এক মাসে মেঘালয়ের মহিলাদের কাছে এই প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছে তৃণমূল। এই প্রকল্প যে কেবল মৌখিক আশ্বাস নয়, তা বোঝাতে বাংলায় চালু হওয়া লক্ষ্ণীর ভান্ডার প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়েও তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন তাঁরা। আর তাতেই এই সাফল্য ধরা দিয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটে পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়াই করছে তৃণমূল। মেঘালয় তৃণমূলের সভাপতি চালর্স পাইগ্রোপ ও বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমার নেতৃত্বে লড়ছে তৃণমূল। গত বছর কলকাতায় এসে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে যান মেঘালয় কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক। তার জেরেই মেঘালয় বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা পায় তৃণমূল। যদিও তৃণমূলে যোগদানকারী ২ জন বিধায়ক ইতিমধ্যে দল ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন। এ বার ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয়ের বিধানসভার ৫২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। আর ভোট ঘোষণার আগেই যে ভাবে মমতার ‘উই কার্ড’ মেঘালয়ে ‘সাড়া’ ফেলেছে, তাতে ভাল ফলের আশা করছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।