নিজস্ব চিত্র।
বরানগর, লেক ভিউ রোড এবং পাটুলিতে ‘নেল আর্ট শপ’ বা নখ-নকশা বিপণি রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই যে দোকান বন্ধ। মঙ্গলবার সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর একটি দল পৌঁছে যায় সেখানে। ডাক পড়ে স্থানীয় চাবিওয়ালার। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় তালা কেটে ভিতরে ঢুকতে পারে ইডি। অন্য দিকে, দক্ষিণ কলকাতার লেক ভিউ রোডেও অর্পিতার একটি নখ-নকশা বিপণিতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা।
শহরে অর্পিতার একাধিক নেল আর্টের দোকান রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন ইডির তদন্তকারীরা। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোয় ইডির ছ’জনের একটি দল। তাঁরা পৌছন বরানগরে অর্পিতার নেল আর্ট শপের কাছে। কিন্তু সেই সময় দোকান বন্ধ। অতঃপর, ডাক পড়ে স্থানীয় এক চাবিওয়ালার। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা যখন বরানগরের এই দোকানে আসতেন, তখন তিনি পাশের ব্যাঙ্কেও যেতেন। তাহলে কি ওই ব্যাঙ্কেও অর্পিতার অ্যাকাউন্ট রয়েছে? ইডি সোজা ঢুকে যায় ব্যাঙ্কেও। কথা বলেন ব্যাঙ্ককর্মীদের সঙ্গে।
ততক্ষণে হাজির হয়েছেন চাবিওয়ালা। তিনি প্রথমে লোহার শাটারের তালা খোলেন। দেখা যায় ভিতরে রয়েছে একটি কাচের দরজা। সেটিও বন্ধ। চাবি দিয়েও সেই তালা খুলতে না পেরে ব্লেড ঢুকিয়ে দরজার তালা কেটে ফেলেন চাবিওয়ালা।
ইডি আধিকারিকরা চাবিওয়ালাকে প্রাপ্য দিয়ে বিদায় করেন। তার পর দোকানের শাটার নামিয়ে ঢুকে পড়েন ভিতরে। বাইরে পাহাড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। একই ভাবে আনন্দপুর এলাকার মাদুরদহে ফ্ল্যাট ঘুরে ইডির আর একটি দল পৌঁছয় লেক ভিউ রোডে। সেখানে আরও একটি নেল আর্ট শপ রয়েছে অর্পিতার বলে দাবি ইডির। সেই দোকানও বন্ধ। দোকান খোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। অর্পিতার আরও একটি নখ-নকশা বিপণি রয়েছে পাটুলিতে। সেখানেও যায় ইডির দল।
তদন্তকারীদের একটি অংশের অনুমান, দোকানগুলো ভাল করে তল্লাশি করলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্রে মিলতে পারে। হাতে আসতে পারে বেশ কিছু দরকারি নথিও।