বানান ভুল হলে নম্বর ছাঁটাই নয়! 

গত বছর পর্যন্ত উত্তরপত্রের প্রথম পাতায় প্রশ্নের সংখ্যার পাশে ‘কেজিং’ বা চৌকো খোপ করা থাকত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২০ ০৩:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

নম্বর কাটলে উত্তরপত্রেই লিখিত ভাবে কারণ ব্যাখ্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগেই। এ বার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ, মাধ্যমিকের কয়েকটি বিষয়ে উত্তরপত্রে বানান ভুলের ক্ষেত্রে নম্বর কাটা যাবে না।

Advertisement

এই লিখিত নির্দেশ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল শিক্ষা শিবিরে। পরীক্ষকদের একাংশের আশঙ্কা, এই ধরনের নির্দেশের ফলে বানান সম্পর্কে যত্ন-সতর্কতা আরও কমবে। আর শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য, পর্ষদ আগেও পরীক্ষকদের এমন নির্দেশ দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এ বার এই ধরনের নির্দেশ বদল করা দরকার।

ইতিহাসের এক পরীক্ষক জানান, তাঁর কাছে যে-নির্দেশিকা এসেছে, তাতে প্রতি বারের মতো এ বারেও লেখা আছে, ‘উত্তর শুদ্ধ হলে পুরো নম্বর দেবেন, বানানের হেরফের হলেও নম্বর কাটা যাবে না।’

Advertisement

এই সেই নির্দেশিকা (চিহ্নিত)

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘‘এমন নির্দেশ মানে বানান ভুলের গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া, যা কখনওই কাম্য নয়। এমন নির্দেশ বদল করা দরকার।’’ ফোন, এসএমএস করেও এই বিষয়ে পর্ষদ-সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য জানা যায়নি।

গত বছর পর্যন্ত উত্তরপত্রের প্রথম পাতায় প্রশ্নের সংখ্যার পাশে ‘কেজিং’ বা চৌকো খোপ করা থাকত। তাতে প্রাপ্ত নম্বর লিখতে হত পরীক্ষককে। এক ও দু’নম্বরের যত প্রশ্ন থাকত, তত খোপ থাকত না। পরীক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, খোপ তৈরি করে আলাদা নম্বর দিতে হবে। পরীক্ষকদের খোপ কাটতে হবে পেনসিল দিয়ে। যা একটা বাড়তি বোঝা। পরীক্ষকদের মতে, খোপ কাটতে হলে খাতা দেখার সময় আরও বেড়ে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement