সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। ফাইল ছবি।
রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য বিষয়ক পর্যালোচনা বৈঠকে মমতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, চিকিৎসায় গাফিলতি অপরাধ হিসাবেই বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে বেশ কয়েকটি নতুন ঘোষণাও করা হয়েছে নবান্নের তরফে।নবান্নের প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার মান আরও উন্নত করতে রাজ্য জুড়ে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে ১০ হাজার ১৭৩টি এবং ২০২৫-’২৬ সালের মধ্যে ১৬ হাজার ৬১৬টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়া হবে। এই কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যে ওপিডি পরিষেবা ও ওষুধ মিলবে। ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন এবং ক্যানসারের পরীক্ষাও করা হবে। সরকারের ঘোষণা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবায় গুরুত্ব দিতে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প শীঘ্রই হাতে নেওয়া হবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এখানেই শেষ নয়। ২০২৫-’২৬ সালের মধ্যে ব্লক স্তরে ৩৪২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন। বলা হয়েছে, ওই ৩৪২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মধ্যে ৮৬টি চালু হয়ে যাবে ২০২৩ সালের মধ্যেই। ২০২৫-’২৬ সালের মধ্যে আশাকর্মীর সংখ্যা ৫৬,৯১৮ থেকে বাড়িয়ে ৭৩,৯৬১ করা হবে। এর জন্য শূন্যপদ পূরণ করা হবে। তৈরি করা হবে আরও ১০ হাজার আশাকর্মীর পদ।
ভবিষ্যতে অতিমারি মোকাবিলাতেও বিশেষ জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। ঘোষণা, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ২২ জেলায় ১০০ শয্যার ছ’টি এবং ৫০ শয্যার ১৬টি ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক’ তৈরি করা হবে। ডিসেম্বর থেকেই তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। এ ছাড়াও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জেলায় জেলায় সব মিলিয়ে ২৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে ৭টির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্য, ২০২৩ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করা।