কমিশন গঠনের বিষয়টি পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে বলে জানান ব্রাত্য বসু।
স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে এ বার শিক্ষা কমিশন তৈরির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের মধ্যে কোনও বিবাদ দেখা দিলে তার সমাধানসূত্র খোঁজার দায়িত্বে থাকবে ওই কমিশন, এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানান, গোটা বিষয়টিও এখন পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে।
হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা, টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। হাসপাতালে অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠলে তাও খতিয়ে দেখে ওই কমিশন। তার আদলেই এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করার কথা ভাবা হয়েছে। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নজরদারিতেই শিক্ষা কমিশনের পরিকল্পনা হয়েছে। স্কুল সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখবে ওই কমিশন।
বেসরকারি স্কুলে খরচবৃদ্ধি নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ তোলেন অভিভাবকেরা। এ নিয়ে রাস্তায় তাঁদের বিক্ষোভ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। সেই সমস্ত যাবতীয় অভিযোগ জানানো যাবে শিক্ষা কমিশনে। রাজ্য সরকারের সূত্রের দাবি, বেসরকারি স্কুলের কাজকর্মের হস্তক্ষেপ করার পরিসর তেমন নেই রাজ্য সরকারের। তাই কমিশন গড়েই সেই সব সমস্যার সমাধান করার কথা ভাবা হয়েছে। নবান্ন এই পরিকল্পনায় সবুজ সঙ্কেতও দিয়েছে বলে দাবি করেছে ওই সূত্র।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষা কমিশন গঠনের বিষয়টি একেবারেই ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে রয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলার জায়গায় আমি নেই।’’