গ্রীষ্মের ছুটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কী কী করণীয়, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। — ফাইল ছবি।
পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ মজবুত, সাফল্য নিশ্চিত করতে উদ্যোগী পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর। গ্রীষ্মের ছুটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কী কী করণীয়, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এই নির্দেশিকা মেনে কাজ দেওয়া হবে, যাতে তাদের স্বাধীন চিন্তাভাবনা, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বাড়ে।
নির্দেশিকা জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, পড়ুয়ারা যাতে প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি মিশতে পারে এবং তা থেকে আত্মবিশ্বাসী হতে পারে, সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। আর সেই মতো তৈরি করা হয়েছে গ্রীষ্মকালীন প্রকল্পের রূপরেখা। যদিও কোন পড়ুয়া কোন বিষয় পছন্দ করে, তা মাথায় রেখেই নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হবে। নির্দেশিকায় সে কথাই বলা হয়েছে। এক এক ক্লাসের পড়ুয়াদের এক এক রকম কাজ দেওয়া হবে।
পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রকৃতি নিয়ে সচেতন করার জন্য কাজ দেওয়া হবে। প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তা নিয়ে নিজেদের মতো গবেষণা করবে পড়ুয়ারা। তার পরে সেই নিয়ে লিখবে। পুরো কাজ শেষ করার জন্য তারা ৫ থেকে ৭ দিন সময় পাবে। সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা কোনও বিজ্ঞান কেন্দ্র বা পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। স্কুল থেকে সেই কেন্দ্র ৩ কিলোমিটারের মধ্যে হতে হবে। ওই কেন্দ্রে যা শিখবে, তার উপর নির্ভর করেই কাজ করতে হবে পড়ুয়াদের। দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, গ্রন্থাগার, কলেজ বা হস্তশিল্পকেন্দ্রে গিয়ে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এই পর্যবেক্ষণ তাদের পেশাগত জীবনে সাহায্য করবে। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের একই ভাবে এ রকম কিছু কেন্দ্রে গিয়ে নিয়ে আসতে হবে পেশার পাঠ। প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষা নীতিতেও পড়ুয়াদের হাতেকলমে শিক্ষার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট গোটা বিষয়ে নজর রাখবেন।