স্বাস্থ্য ভবন। —ফাইল চিত্র।
প্রায় চার মাস আগে ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও এখনও রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা পদে স্থায়ী ভাবে কাউকে নিয়োগ করেনি রাজ্য। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রশ্ন ও জল্পনা শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই ওই পদে নিয়োগের নিয়মে এ বার কিছু বদল আনল স্বাস্থ্য দফতর।
এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের জারি করা গেজেট নোটিফিকেশন সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে। তার ফলে পূর্ববর্তী ইন্টারভিউ হওয়া প্যানেল বাতিল বলে গণ্য হওয়ার কথা এ দিন জানিয়েছেন এক স্বাস্থ্যকর্তা। নতুন নিয়মে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যদি কোনও শিক্ষক-চিকিৎসক আবেদন করেন, তাঁর অন্তত ১০ বছর প্রফেসর পদে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আগে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা পদে সর্বোচ্চ বয়স নির্দিষ্ট থাকলেও, এ বার আবেদন করার সর্বনিম্ন বয়সও স্থির করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, ৫৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে বয়সিরা আবেদন করতে পারবেন।
বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা নির্বাচন কমিটি আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে তিন জনকে বেছে নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করে রাজ্যকে পাঠাবে। তার মধ্যে থেকেই
এক জনকে বেছে নেবে রাজ্য। এর জন্য আগে রাজ্যের কাছে দু’টি নাম পাঠাতে হত। স্বাস্থ্য দফতরের ওই বাছাই কমিটিতে রাখা হয়েছে পাঁচ জনকে। সেখানে আছেন দফতরের প্রধান সচিব বা অতিরিক্ত প্রধান সচিব, প্রাক্তন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা বা স্বাস্থ্য দফতরের প্রাক্তন
বিশেষ সচিব, রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান, রাজ্য সরকার মনোনীত বিশেষ সচিব পদমর্যাদার আধিকারিক এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষার বিশেষ সচিব। আবেদনপত্র জমা পড়ার পরে প্রয়োজন মনে করলে ইন্টারভিউ নিতে পারবে স্বাস্থ্য দফতর। তবে আচমকাই আগের প্যানেল বাতিল করে নতুন নিয়ম চালু করা হল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী চিকিৎসক সংগঠনগুলি।