ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে জনস্রোত। নিজস্ব চিত্র
বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের রাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংযত ভাবে উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাল রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। হাইকোর্টেরও নির্দেশিকাও রয়েছে। প্রশাসনের তরফে সব রকমের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মুখ্যসচিবের আহ্বান, “কোভিড পরিস্থিতিতে আপনারা শান্ত এবং সংযত ভাবে বর্ষবরণের উৎসবে শামিল হোন। ভিড় এড়ানোই ভাল। প্রত্যেকেই মাস্ক পরুন। ট্রাফিক বুথগুলো সহায়তা কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে। বর্ষবরণের উদ্যাপন নিরাপদ ভাবে পালিত হোক।”
গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে যে ভাবে পার্ক স্ট্রিট এবং সংলগ্ন এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছিল, তাতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ভিড় নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয় পুলিশ এবং প্রশাসনকে। স্বাস্থ্যবিধি যাতে মানা হয়, সে বিষয়েও সতর্ক করে দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: ৩৫৬ বনাম ১৫৬, ধনখড়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার তৃণমূলের
আরও পড়ুন: ছত্রধরকে নিয়ে নেতাইয়ে সভার হুঙ্কার, বহুদিন পর ময়দানে মদন
৩১ ডিসেম্বর বর্ষবরণ এবং ১ জানুয়ারি নতুন বছরের শুরুতে নাইটক্লাব, পানশালা, রেস্তরাঁয় ভিড় উপচে পড়ে। এ বছর করোনার কারণে দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসবের ভিড়ে রাশ টানা গিয়েছে আদালতের নির্দেশে। বর্ষবরণের উৎসবেও থাকছে একই নিয়ম।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর, কলকাতা পুলিশের তরফে ৩১ তারিখ বিকেল থেকেই ভিড় নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে, কড়া নিরাপত্তা থাকাবে শহর জুড়েই। বাইক এবং গাড়ির গতিতেও নজর থাকবে পুলিশকর্মীদের। বেপরোয়া হলেই আটকের নির্দেশ রয়েছে লালবাজার থেকে। ট্রাফিক বুথগুলোতে থাকবে পুলিশ। কেউ মাস্ক আনতে ভুলে গেলে, সেখান থেকে মাস্কও পাওয়া যাবে। নিরাপত্তার প্রয়োজনে সাদা পোশাকে থাকবে পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বর্ষবরণের ভিড়ে রাশ টানতে রাজ্যর মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদিও এখানে নাইট কার্ফুর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে না রাজ্য।