রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
রাজনীতির চেনা মুখেরা একের পর এক করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর পিছনে জনপ্রিয়তাও বড় কারণ বলে মনে করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। খুব বেশি না হলেও বিজেপি-র অভিনেত্রী সাংসদ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। বাড়ি ছেড়ে হোটেলেও থেকেছেন প্রচার পর্বে। তবে শেষবেলার প্রচারে আর বেরোতে পারেননি। করোনা আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি তিনি পয়লা বৈশাখ থেকে। এখন কিছুটা ভাল থাকলেও কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। জানালেন নতুন একটা সমস্যা হচ্ছে তাঁর। কোভিড আক্রান্তদের সাধারণ উপসর্গে স্বাদ-গন্ধ চলে যায়। রূপার ক্ষেত্রে স্বাদ চলে গেলেও গন্ধ পাচ্ছেন। কিন্তু সেটা কটু-গন্ধ। বললেন, ‘‘সব সময় একটা বাজে গন্ধ পাচ্ছি।’’
রূপার কথায়, ‘‘অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হলেও চেনা মুখ রাজনীতিকদের সতর্ক থাকাটা একটু বেশি সমস্যার। তাই তাঁদের ঝুঁকি বেশি।’’ প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত বিজেপি-র গায়ক অভিনেতা সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি আবার টালিগঞ্জ আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীও। আক্রান্ত বিজেপি-র আর এক প্রার্থী অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। চেনা মুখ ও জনপ্রিয় রাজনীতিক মদন মিত্রও করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রূপার দাবি, ‘‘এর একটা বড় কারণ, চাইলেও ভিড় এড়িয়ে চলতে না পারাটা।’’ তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই পাশে এসে সেলফি তুলতে চান। তাঁদের আব্দারে মাস্কও নামাতে হয়। তাঁরা যখন বলেন, দিদি একটু মাস্কটা নামান, তখন ইচ্ছা না থাকলেও মেনে নিতেই হয়।’’ শুধু সেলফি তোলাই নয়, ‘চেনা মুখ’দের নিয়ে সাধারণের ‘স্বাভাবিক’ উচ্ছ্বাসও বিপদ ডেকে আনছে বলে মনে করেন রূপা। তিনি বলেন, ‘‘অনেক দিন সতর্কতা অবলম্বন করেছি। মাঝে কিছু দিন একটু ছাড় দিয়ে ফেলেছি।’’
তবে কাউকে দোষারোপ করতে চান না রূপা। বললেন, ‘‘ভালবেসে কেউ হাত ধরতে চাইলে, সব সময় দূরে সরিয়ে নেওয়া য়ায় না। আর অনেককে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করেও করোনায় আক্রান্ত হতে দেখেছি। তাই কী কারণে হয়েছে সে সব না খুঁজে এখন আরও সতর্ক হতে হবে। কাউকে দোষারোপ করার সময় এটা নয়।’’ রূপা চান সকলে যেন পারস্পরিক দোষারোপ থেকে সরে নিজে সতর্ক হন এবং অপরকে সতর্ক করেন।
স্বাদ না পাওয়ায় কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। খারাপ গন্ধ যেন তাড়া করছে বারবার। চোখে অসহ্য যন্ত্রণা। তারই মধ্যে নিয়ম করে ওষুধ, পথ্য খাওয়া ছাড়াও ঘন ঘন অক্সিমিটার দিয়ে নিজেকে পরীক্ষা করছেন নিভৃতবাসে একলা। তারই মধ্যে কথায় কথায় অভিনেত্রী রাজনীতিক বললেন, ‘‘পৃথিবীকে সুস্থ করতে হবে। আমাদের সবাইকে সুস্থ থাকতে হবে। তাই স্পর্শ না করেও হাতে হাত মিলিয়ে লড়তে হবে আমাদের।’’