রাজীব কুমার, সুকান্ত মজুমদার এবং বিপি গোপালিক। —ফাইল চিত্র।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উপরে ‘হামলা ও নিগ্রহের’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে লোকসভার স্বাধিকার (প্রিভিলেজ) কমিটির ডাকে আজ, সোমবার দিল্লি যাওয়ার কথা রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজি-সহ পাঁচ কর্তার। কিন্তু প্রশাসনের অন্দরের খবর, ওই কমিটিকে ডাক পিছোনোর জন্য আর্জি জানিয়েছে নবান্ন। তার জবাবি চিঠি নবান্ন পেয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু সূত্রের খবর, রবিবার রাত পর্যন্ত ওই কর্তারা সোমবার দিল্লি যাবেন না বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে নবান্নে।
প্রশাসনের একাংশের মতে, রবিবার রাত পর্যন্ত ‘না যাওয়া’র দিকে পাল্লা ভারী থাকলেও শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা স্পষ্ট হবে সোমবার। তাঁদের বক্তব্য, কমিটি দিন বদলের আর্জি মানলে সমস্যা থাকবে না। কিন্তু তারা তা না করলে, এই ডাক এড়ানো কিংবা ডাক এড়িয়ে ‘পার পাওয়া’ শক্ত। প্রথমত, স্বাধিকার কমিটির ক্ষমতা যথেষ্ট। দ্বিতীয়ত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বিষয়টি জানিয়েই লিখিত ভাবে ডাকা হয়েছে আধিকারিকদের। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের বেতনভুক কর্মী হিসেবে আইএএস, আইপিএসদের পক্ষে তা এড়ানো সহজ নয়। তৃতীয়ত, এর আগে রাজ্যের এক শীর্ষ আমলার দিল্লির ডাকে ‘সাড়া না দেওয়াকে’ কেন্দ্র করে যে পরিমাণ জলঘোলা হয়েছে, তা-ও মাথায় রাখতে হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে।
১৫ ফেব্রুয়ারি মুখ্যসচিব, ডিজি, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, বসিরহাটের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তলব করে কমিটি। কিন্তু সেই দিন পিছোনোর আর্জিতে রাজ্যের যুক্তি, ৪ মার্চ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন-কর্তারা রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ৫ মার্চ জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা। ৬ মার্চ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি, এডিজির (আইনশৃঙ্খলা) সঙ্গে ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হতে পারে ফুল বেঞ্চের। তার আগে প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। তার উপরে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক। নজরদারিতে ব্যস্ত জেলাশাসক-পুলিশ সুপারেরা। এ সব যুক্তি মেনে ডাকের তারিখ পিছোয় কি না, তা স্পষ্ট হতে পারে আজই।