পর্ষদ জানাল, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) তাদের কাছে সুরক্ষিত হেফাজতে রয়েছে। — ফাইল ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। তার ২৪ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পর্ষদ। জানাল, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) তাদের কাছে সুরক্ষিত হেফাজতে রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও জানানো হয়েছে যে, প্রযুক্তিগত কারণে উত্তরপত্র বিকৃত করা সম্ভব নয়। শীঘ্রই পর্ষদ ‘পরিচ্ছন্ন এবং স্বচ্ছ ভাবে’ ২০২২ সালের টেটের ফল প্রকাশ করবে।
মঙ্গলবার পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আরও জানায় যে, ২০২২ সালের টেটের ফল প্রকাশের পর পোর্টালে প্রার্থীদের উত্তরপত্র প্রকাশ করা হবে। টেট প্রার্থীরা চাইলে নিজেদের কাছে থাকা উত্তরপত্রের প্রতিলিপি পোর্টালে প্রকাশিত উত্তরপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে পারবেন।
দেড় মাস আগে হয়েছে টেট। রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দাবি করে, সেই পরীক্ষার ১৮৯টি উত্তরপত্রের প্রতিলিপি এবং অ্যাডমিট কার্ড যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে মিলেছে। কী ভাবে সেই উত্তরপত্র কুন্তলের বাড়িতে পৌঁছেছে, তা-ও জানতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার তারই জবাব দেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম। তিনি জানিয়েছিলেন, পরীক্ষার্থীদের আসল উত্তরপত্র পর্ষদের কাছে সুরক্ষিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে উত্তরপত্রের কথা বলছে, তা ওই উত্তরপত্রের প্রতিলিপি। তাই তার দায় পর্ষদের নয়।
সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। যথা সময়েই টেট পরীক্ষার্থীরা তাঁদের পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।’’ তিনি এ-ও দাবি করেন যে, পরীক্ষার্থীরাই নিজেদের প্রতিলিপি কারও তুলে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকেই একটি করে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি দিয়েছিলাম আমরা। যাতে ফল প্রকাশের পর তারা নিজেদের ফল উত্তরপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন। সেই প্রতিলিপি যদি কোনও পরীক্ষার্থী কারও হাতে তুলে দিয়ে থাকেন তবে তার জন্য পর্ষদ দায়ী নয়।’’ মঙ্গলবার পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই একই কথা জানাল।