প্রতীকী ছবি।
‘কাটমানি’ বিতর্ক অন্য মাত্রা পেল এক আমলা এবং এক জেলা সভাধিপতির তরজায়। রাজ্যের পঞ্চায়েত কমিশনার তথা পুরুলিয়ার প্রাক্তন জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় অভিযোগকারী। ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ তুলে পুরুলিয়ার জেলা সভাধিপতি তৃণমূলের সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু ‘হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ’ পাঠান অলকেশ। শনিবার তা প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয় শোরগোল।
যদিও সুজয় ওই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন। তাঁর দাবি, ‘‘তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রীকে সব জানিয়ে বলেছি, তিনি নির্দেশ দিলে ইস্তফা দিতে প্রস্তুত।’’ এ ব্যাপারে দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর মন্তব্য, ‘‘ঠিক কী ঘটেছে তা জানি না। তাই কিছু বলতে পারছি না।’’
পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে পুরুলিয়ার জেলাশাসক থাকা অলকেশবাবুর বিরুদ্ধে বারবার শাসকদলের প্রতি পক্ষপাত করার অভিযোগ তুলত বিজেপি। তাঁর সময়েই সভাধিপতি হন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজয়বাবু। সুজয়ের দাবি, অলকেশবাবুর জেলাশাসক থাকাকালীন একটি টেন্ডার নিয়ে তাঁদের দু’জনের মধ্যে মতানৈক্য হয়। তা থেকেই ‘বনিবনা’ হত না দু’জনের।
‘মেসেজ’-এ অভিযোগ করা হয়েছে, সুজয় প্রতিটি কাজে, সব ঠিকাদারের কাছ থেকে ৮-১৫ শতাংশ টাকা তুলছেন। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘আপনি পার্টিটা নিজের ডাকাতির বিনিময়ে শেষ করে দেবেন?’ এ দিন অলকেশ দাবি করেন, ‘‘সভাধিপতির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে ওই মেসেজ পাঠিয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঁড়িয়ে যা হচ্ছে, তা নিয়ে সতর্ক করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। কিন্তু তিনি যে ভাবে সে সব ফাঁস করেছেন, তা চরম অনৈতিক কাজ।’’ পক্ষান্তরে, সুজয়বাবুর দাবি, তাঁকে ‘কালিমালিপ্ত’ করতে এ ধরনের কয়েকটি ‘মেসেজ’ দিন দশেক আগে অলকেশই ফাঁস করেন। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে এক জন সরকারি আধিকারিকের এমন অভিযোগ করা কতটা শ্রেয়, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই জানতে চেয়েছি।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।