Hiran Chatterjee Rudranil Ghosh

কে অভিনয়ে ‘চুরির টাকায়’, কে টলিউডের খোঁজ রাখেন না, হিরণ-রুদ্রনীল তরজায় পদ্মবনে জোর নারদ-নারদ!

দুই নেতা-অভিনেতার এই তরজায় ‘অস্বস্তিতে’ বিজেপিও। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘এই ঘটনা অনভিপ্রেত। দল এই ধরনের বিতর্কে উৎসাহী নয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪৮
Share:

(বাঁ দিকে) হিরণ চট্টোপাধ্যায়। রুদ্রনীল ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিজেপির দুই তারকা নেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং রুদ্রনীল ঘোষ জড়িয়ে পড়লেন তরজায়। হিরণ সরাসরি অভিযোগ করলেন, চোরেদের প্রযোজিত সিনেমায় অভিনয় করছেন রুদ্রনীল। তাই পরোক্ষে তিনি যুক্ত হয়ে পড়ছেন। পাল্টা রুদ্রনীল খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়কের উদ্দেশে বললেন, হিরণ দীর্ঘদিন কাজ করেন না টলিউডে। তাই তিনি অনেক কিছু জানলেও সবটা জানেন না।

Advertisement

বিতর্কের সূত্রপাত রবিবার। পুরুলিয়া শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক বিজেপি নেতার বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোয় গিয়েছিলেন হিরণ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘উনি (রুদ্রনীল) যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এখন তাঁদের ছবিতে কাজ করছেন। যাঁদের যাঁদের ছবিতে কাজ করছেন তাঁরা তো শেষ পর্যন্ত চোর। ওঁকে সংসার চালাতে হবে অভিনেতা হিসেবে। সেই জন্য তো আমি বলছি, উনি প্রত্যক্ষ ভাবে নয়, পরোক্ষ ভাবে এই চোরেদের সঙ্গে যুক্ত।’’ হিরণ এ-ও বলেন, ‘‘অভিনেতা-অভিনেত্রী কী করবেন? তাঁকে তো অভিনয় করতে হবে। তিনি কি বাছবিচার করবেন কে চোর আর কে নয়, কোন সুপারস্টার গরু চুরির টাকায় সিনেমা বানাচ্ছেন?’’

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় রুদ্রনীল বলেন, ‘‘প্রথমত, হিরণ এখন সম্পূর্ণ ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে। আমি যে দল করি উনি সেই দলেরই বিধায়ক। অনেক দিনই হল তিনি টলিউডের সঙ্গে জড়িয়ে নেই। কারণ উনি কাজ করেন না রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকার জন্য। তাই উনি টলিউড সম্পর্কে অনেকটা জানলেও সবটা হয়তো জানেন না।’’ পাশাপাশি, রুদ্রনীল এ-ও বলেছেন, ‘‘যাঁদের উনি চোর বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করছেন না কেন? রাজ্য সরকারকে জানাচ্ছেন না কেন? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি বা সিবিআইকে জানাচ্ছেন না কেন? আর যদি জানিয়েও থাকেন তা হলে তা আমাদের জানালে সুবিধা হয়।’’

Advertisement

দুই নেতা-অভিনেতার এই তরজায় অস্বস্তিতে বিজেপিও। রাজ্য বিজেপির অন্যতম প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘এই ঘটনা অনভিপ্রেত। দল এই ধরনের বিতর্কে উৎসাহী নয়।’’ বঙ্গ বিজেপিতে মাঝেমাঝেই কোনও না কোনও নেতা এমন সব মন্তব্য করছেন যাতে দল বিপাকে পড়ছে। কয়েক দিন আগে কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার নানাবিধ মন্তব্যে আন্দোলিত হয়েছিল গেরুয়া শিবির। এ বার বাগ্‌যুদ্ধে জড়ালেন হিরণ এবং রুদ্রনীল

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement