বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে ওয়াকফ নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
এ বার ওয়াকফ বিলের উত্তাপ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে। সোমবার সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুবনেশ্বরে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত বৈঠক বয়কট করেছে তৃণমূলের সাংসদেরা। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিমান বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিল নিয়ে আমার ব্যক্তিগত স্তরে আপত্তি আছে। তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় ভাবে তা বয়কট করেছে। তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে বিধানসভাতে ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা হবে।’’ এর বেশি কিছু বলতে চাননি স্পিকার। বরং ২৫ নভেম্বর অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বিধানসভায় কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠকে কী আলোচনা হবে তা ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন বিমান।
তবে বিধানসভার সচিবালয়ের একাংশ মনে করছে, সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে যে ওয়াকফ বিল আনা হবে তা নিয়ে এখন থেকেই তৃণমূল সাংসদেরা প্রকাশ্যে স্বর চড়িয়েছেন, তাতেই মনে করা হচ্ছে, ওয়াকফ বিল বিরোধী কোনও প্রস্তাব আনা হতে পারে বিধানসভায়। তবে সেই প্রস্তাব শাসকদলের পক্ষ থেকে স্পিকারের দফতরে জমা দেওয়া হলে, সেই বিষয়ে বিবেচনা করবেন বিমান। মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে আলোচনা করেই ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে প্রস্তাব আনা হতে পারে। কারণ, ওয়াকফ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান তারা স্পষ্ট করেছে। গত ৩ নভেম্বর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে জেপিসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী সাংসদেরা। গত সপ্তাহে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নাদিমুল হক।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূল সাংসদেরা ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে গোটা দেশের সংখ্যালঘু সমাজের কাছে বার্তা দিতে চান বলে মনে করছে বাংলার রাজনৈতিক দলের একাংশ। সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে বাংলার সংখ্যালঘু সমাজের পাশে যে শাসকদল তৃণমূল রয়েছে সেই বার্তাও দিতে চাইছে। তাই এ বিষয়ে আলোচনা করে কেন্দ্রে শাসকদল বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আবারও বিরোধিতার মুখে ফেলার কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল। এমনটাই মত বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের।