বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে পারছেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী! এ বার তিনি বিতর্কে জড়ালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণের জন্য ‘নাক’-এর সম্ভাব্য পরিদর্শন ঘিরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে তাঁর মন্তব্য, এই মুহূর্তে ‘নাক’-এর পরিদর্শন তিনি চান না। তিনি চাইলে পরিদর্শনের জন্য কারা আসবেন, তা তিনিই ঠিক করে দিতে পারতেন। কিন্তু এখন ‘নাক’-এর আগমন তিনি চাইছেন না, বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেছেন উপাচার্য।
এনআইআরএফ-এর মাপকাঠিতে সম্প্রতি ৯৭তম স্থানে নেমে এসেছে বিশ্বভারতী। সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন উপাচার্য। সেখানেই ‘নাক’-এর প্রতিনিধিদলের সম্ভাব্য পরিদর্শনের প্রসঙ্গ এনে উপাচার্য বলেন, তিনি এখন ওঁদের সফর চান না। ওই প্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট টাকা জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে, এই তথ্য শুনে উপাচার্যের পরবর্তী মন্তব্য— টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলেও তাঁর ‘সম্মান’ রক্ষা আগে জরুরি। মাপকাঠিতে অবনমনের জন্য বিভিন্ন বিভাগের কাজকেই দায়ী করে উপাচার্য ওই বৈঠকে দাবি করেছেন, নিয়োগের বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করেন না। সূত্রের খবর, তার পরেই সঙ্গীত বিভাগের এক শিক্ষকের নাম করে তিনি আবার বলেন, অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও ওই শিক্ষকের নিয়োগের ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছেন! কিন্তু উপাচার্যকে ঘেরাও এবং সাম্প্রতিক সঙ্কটের সময়ে ওই শিক্ষক যোগাযোগ করেননি বলে ‘আক্ষেপ’ শোনা যায় তাঁর গলায়। সেই শিক্ষক বৈঠকে জানান, তিনি উপাচার্যের জন্য ‘প্রার্থনা’ করছিলেন। তার উপরে পাল্টা মন্তব্যও করেন উপাচার্য।