Viswa Bharati University

উপাচার্যকে ই-মেলেই ‘জবাব’ মনোজিতের

সম্প্রতি অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে সমালোচনা করেন মনোজিৎ। তার পাল্টা উপাচার্য ই-মেল মারফত দাবি করেন, মনোজিতের এই সমালোচনা ঠিক নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:১১
Share:

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফাইল ছবি।

অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি বেআইনি ভাবে দখল করে আছেন কি না, এই নিয়ে বিতর্কে এ বারে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি মনোজিৎকে পাঠানো তাঁর একটি ই-মেল সংবাদমাধ্যমের একাংশের সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোজিৎকে তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানি, আপনি আপনার পারিবারিক সমস্যার সমাধান করতে পারেন না’।

Advertisement

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে সমালোচনা করেন মনোজিৎ। তার পাল্টা উপাচার্য ই-মেল মারফত দাবি করেন, মনোজিতের এই সমালোচনা এবং দাবি ঠিক নয়। তিনি তাঁকে সেই ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করে জানান, মনোজিৎ নিজের দাবি প্রমাণ করতে না পারলে তিনি মনোজিতের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন। সেখানেই অধ্যাপকের প্রতি উপাচার্য মন্তব্য করেন, ‘আমি জানি, আপনি আপনার পারিবারিক সমস্যার সমাধান করতে পারেন না’। আর সেটাই মনোজিতের ‘মানসিক সমস্যার কারণ’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই মেলে। যাদবপুরের উপাচার্যের কাছেও বিদ্যুতের এমন একটি মেল এসেছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গক্রমে, মনোজিতের বিচ্ছিন্না স্ত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন। উপাচার্য ই-মেলে মনোজিৎকে ‘মিস্টার চ্যাটার্জি’র কাছে যেতে বলেও কটাক্ষ করেছেন বলে দাবি।

Advertisement

জবাবি ই-মেলে মনোজিৎ লিখেছেন, ‘আমার অতীত ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত বাকি চিঠির বিষয়বস্তু ততটাই নিচু এবং ঘৃণ্য, যতটা নিচু আপনার অধ্যাপক সেনকে সংবাদমাধ্যমে ‘জমি দখলকারী’ তকমা দেওয়া’। উপাচার্যের প্রতি তাঁর আর্জি, বিশ্বভারতীর প্রতি যে দায়িত্ব পালন করছেন, তা তিনি ‘কঠোর ভাবে বিবেচনা’ করুন। একই সঙ্গে শেষ এনআইআরএফ র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বভারতীর অবনমন (৩১ থেকে ৯০ স্থানে) নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মনোজিৎ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমে খুব বিস্মিত হয়েছিলাম যে, কোনও উপাচার্য এমন মেল পাঠিয়েছেন, আমার রাজনৈতিক মন্তব্যর প্রেক্ষিতে। যদিও তা অসম্মানজনক ছিল না। পরে বুঝলাম যিনি অনায়াসে অমর্ত্য সেনের মতো মানুষকে ‘জমি চোর’ আর মুখ্যমন্ত্রীকে প্রায় ‘পাগল’ সাজাতে পারেন, তাঁর পক্ষে এই কুৎসিত মেলই মানানসই। আমার প্রতিবাদ জানিয়ে উত্তর পাঠিয়েছি।’’

এই ব্যাপারে উপাচার্যের দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কিছু বলতে চাওয়া হয়নি। মনোজিৎ সম্পর্কে উপাচার্যের বক্তব্যের নিন্দা করেছে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ। সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উপাচার্য তাঁর চেয়ারের অপব্যবহার করে সরকারি ক্ষমতাবলে এমনটি করেছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement