নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার রাতে মূল সেন্ট্রাল অফিস ঘেরাও করে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভ তুলতে গেলে কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী ও ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক তন্ময় নাগের গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে পড়ুয়ারা কথা বলতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরাই প্রথমে ছাত্রদের গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টাও হয় বলে দাবি করেছেন পড়ুয়ারা। তার পরই উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
দীর্ঘ দিন ধরেই কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিশ্বভারতীতে। উপাচার্য বিদ্যুতের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে অনেক দিন ধরেই সরব পড়ুয়াদের একাংশ। সম্প্রতি তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করার পর থেকেই আগুনে ঘি পড়ে। এ দিন রাত ৮টা নাগাদ প্রথমে ঘেরাও করা হয় মূল সেন্ট্রাল অফিস। বিক্ষোভ চলাকালীনই অফিস থেকে নিজের স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে যান রেজিস্টার অশোক মাহাতো। তার পরই বেরতে যান উপাচার্যের আপ্ত-সহায়ক। তাঁকে আটকাতে যাওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি বাঁধে পড়ুয়াদের।
পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার কোনও চেষ্টা না করে তাঁদের উদ্দেশে তন্ময় বলেন, ‘‘কেন শুনব তোমাদের কথা?’’ তাতেই আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পড়ুয়াদের কয়েক জন। পরে অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অফিসে গিয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হয়েছিলেন।
এই ঘটনার ঠিক কিছু ক্ষণ পরই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। তাঁদের এক জনের কথায়, ‘‘উপাচার্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। ওঁর একের পর এক সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের সকলের ক্ষতি হচ্ছে। শুধু তিন জন পড়ুয়াকে বরখাস্ত করার বিরুদ্ধেই, এত দিন ধরে যা যা ঘটছে, সবের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করছি আমরা। যত ক্ষণ না আমাদের দাবি মানা হচ্ছে, তত ক্ষণ বিক্ষোভ চলবে। আগামী কাল থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে পড়ুয়ারা।’’