Calcutta High Court

Calcutta High Court: নথি যাচাই ছাড়াই ১২ জন শিক্ষকের চাকরি, ক্ষোভে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২১ ১৯:৪৪
Share:

নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষায় পাশ করার কোনও প্রমাণ নেই। নথি যাচাইয়ের কাজও সঠিক ভাবে হয়নি। অথচ বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা চাকরি করছেন! এক-দু’জন নন, এক এক করে উঠে এসেছে এমন ১২ জনের নাম। যা দেখে স্তম্ভিত বিচারপতি! ক্ষোভে নিজেই মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন। পাশাপাশি ওই বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিলেন। শুক্রবার এমনটাই হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে।

Advertisement


২০১৬-য় প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয় এক প্রার্থীকে। সমস্ত নথি যাচাই করেই তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি স্বদেশ দাস নামে ওই প্রার্থীর। সেই মতো চাকরিও করেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন পরে ফের তাঁর নথি চেয়ে পাঠায় জেলা প্রাথমিক পরিদর্শক। তাতেই উঠে আসে আসল তথ্য। কারণ টেট পরীক্ষায় পাশ করা বা তাঁর যোগ্যতা সংক্রান্ত নথির কোনও কিছুরই প্রমাণ দিতে পারেননি স্বদেশ। চাকরি থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে এই আশঙ্কায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই সংক্রান্ত মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে ওঠে। নিয়োগে অস্বচ্ছতা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কাঠগড়ায় তোলেন বিচারপতি। কী ভাবে ওই নিয়োগ করা হয়েছে, প্রশ্ন তোলে আদালত। পর্ষদ ওই প্রার্থীকেই দোষী সাব্যস্ত করতে চায়। এর পর উঠে আসে চমকপ্রদ তথ্য। ওই প্রার্থী জানান, তিনি শুধু একা নন, পর্যাপ্ত নথি ছাড়া চাকরি করছেন এ রকম ১২ জন। নথি যাচাই না-করেই ওঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার শুনানির সময় বিষয়টি জানতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। তার পরেই এই মামলা থেকে নিজের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

তবে এখানেই শেষ নয়। নজিরবিহীন ভাবে বিচারপতি ওই মামলাটিকে জনস্বার্থ মামলায় রূপান্তরিত করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাই রিট পিটিশনের এই মামলাকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দায়ের করা উচিত। এমনকি এই মর্মে উচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এত সব কিছুর পিছনে আসল উদ্দেশ্য হল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement