অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ফাইল চিত্র।
বিতর্কিত জমিতে উচ্ছেদের নোটিস নিয়ে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে কিছু দিন আগেই চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের আইনজীবীর তরফে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিয়ে তিন মাসের সময় চাওয়া হয়েছিল। তা অগ্রাহ্য করেই আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়ে শুনানিতে হাজির থাকতে অমর্ত্য সেনকে ফের চিঠি দিল বিশ্বভারতী। শুনানিতে না থাকলে আর কোনও সুযোগ না-ও দেওয়া হতে পারে বলেও চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী।
জমি বিতর্কের মধ্যেই সম্প্রতি অমর্ত্যকে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতী জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে দখলদার উচ্ছেদ আইন কেন প্রয়োগ করা হবে না, তার জবাব ২৪ মার্চের মধ্যে জানাতে হবে। ২৯ মার্চ বিকেলে অমর্ত্য অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে হাজির হওয়ার কথাও বলা হয়। নোবেলজয়ীর আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তীর তরফে পাল্টা চিঠি দিয়ে চার মাসের সময় চাওয়া হয়। কিন্তু বিশ্বভারতী চার মাসের বদলে মাত্র ১০ দিন মঞ্জুর করে। অমর্ত্য বিদেশে আছেন এবং এত কম সময়ের মধ্যে নথি নিয়ে হাজির হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে ফের অমর্ত্যের আইনজীবীর তরফে বিশ্বভারতীর কাছে তিন মাসের সময় চাওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও বিশ্বভারতীর তরফে ফের কারণ দর্শানোর জন্য আগামী ১০ এপ্রিল লিখিত আবেদন জমা দিতে বলে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল ৪টেয় শুনানি হবে বলেও জানানো হয়েছে। কারণ দর্শানোর আবেদন জমা না দিলে বা শুনানিতে উপস্থিত না থাকলে আর সুযোগ দেওয়া না-ও হতে পারে বলেও চিঠিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী। গোরাচাঁদ বলেন, “আগেও আমাদের অসুবিধের কথা বলে তিন মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু এখানে পরিস্থিতির বাস্তবতাকে অস্বীকার করা হচ্ছে, এটুকু বলতে পারি। ওই দিন আমরা উপস্থিত থাকব কি না, তা-ও এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।” এ নিয়ে বিশ্বভারতীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।