সম্প্রতি একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল অফিসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। —ফাইল চিত্র।
আবারও বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এ বার তাঁকে ঘেরাও করার অভিযোগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন ছাত্রকে ১ বছরের জন্য সাসপেন্ড করলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ‘শাস্তির’ আগে তাঁদের কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এতে আবারও বিদ্যুতের স্বৈরাচারী মনোভাব প্রকাশ্যে এল।
সম্প্রতি একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল অফিসে উপাচার্যকে ঘেরাও করেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। অভিযোগ, আন্দোলন চলাকালীন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের বচসা এবং হাতাহাতিও হয়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ৬ ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়। ওই পড়ুয়াদের প্রত্যেককে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী পরিষদের বৈঠকে স্থির করা হয়েছে যে আগামী ১ বছরের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে এই নির্দেশ কার্যকরী হবে। যদিও সাসপেন্ড করার আগে তাঁদের কোনও রকম শোকজ করা হয়নি।
আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, ‘‘বিশ্বভারতীর উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা তাঁকে ঘেরাও করেছিলাম। তাঁর এই স্বৈরাচারী মনোভাবই আবার প্রকাশ্যে এল। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বললেই ঠিক আগে যেমন সাসপেন্ড বা শোকজ করা হত, এ বারও তেমনই ছাত্রদের সাসপেন্ড করা হল।’’