বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
ফলক-বিতর্কের মাঝেই ‘ডিউটি বহির্ভূত’ বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য উপাচার্য ‘চাপ’ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ই-মেল করেন বিশ্বভারতীর সদ্য নিযুক্ত মাল্টি টাস্কিং স্টাফ বা এমটিএসেরা। বুধবার ফের তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীকে ই-মেল করে দাবি করেন, মঙ্গলবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলে তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। মেল দু’টির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার। বিশ্বভারতী কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ৪০৫ জন এমটিএস নিয়োগ করে বিশ্বভারতী। সূত্রের খবর, বাগান, নজরদারি, জুনিয়র অপারেটর, গেট কিপার, ফাইলপত্র নিয়ে যাওয়া, অফিস পরিষ্কারের মতো কাজ এই কর্মীরা করেন। মঙ্গলবারের ই-মেলে এই কর্মীদের অভিযোগ, উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিতে পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার পাঠানো ই-মেলে দাবি করা হয়েছে, এমটিএস ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত স্থায়ী কর্মচারী মঙ্গলবার বেতন পেয়েছেন। তাঁদের বেতন না দেওয়াকে উপাচার্যের ‘বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে এমটিএসদের তরফে। দাবি, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই চলতি মাসের বেতন বন্ধ করা ‘বেআইনি ও অন্যায্য’।
অভিযোগকারী কর্মীরা সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। তবে, সমাজমাধ্যমে এমটিএসদের ই-মেল পোস্ট করে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা লিখেছেন, ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিশ্বভারতীর নবনিযুক্ত এমটিএস কর্মীদের উপর ফরমান জারি করেছেন যে তাঁরা যেন উপাচার্যের মেয়াদকাল বাড়ানোর দাবিতে মিছিল করেন’। অনুপমের দাবি, ‘রবীন্দ্রনাথ, নরেন্দ্র মোদী বা বিশ্বভারতীর প্রতি তাঁর কোনও ভালোবাসা নেই…কিন্তু যেটা আছে, সেটা হল উপাচার্যের চেয়ারটার প্রতি আনলিমিটেড প্রেম এবং আকর্ষণ!’
এরই মধ্যে চার ছাত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য মহিলা কমিশন। বিভাগীয় এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্থা, কুপ্রস্তাব দেওয়া এবং জাতিবৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছিলেন ওই চার ছাত্রী। বিশ্বভারতী কোনও পদক্ষেপ করেনি এই অভিযোগে তাঁরা অনশনেও বসেছেন।
এমটিএস এবং মহিলা কমিশন নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করতে চাননি।