—ফাইল চিত্র।
স্রেফ উপাচার্যের বক্তব্যের ভিডিয়ো করার ‘অপরাধ’-এ কেন তাঁকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, তা বুঝতে পারছেন না প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র। বাঁকুড়ার গরিব পরিবারের ওই ছাত্রের সামর্থ্যও নেই শান্তিনিকেতনে বাড়ি ভাড়া বা মেসে থাকার। ফলে, মঙ্গলবার তিনি ফিরে গিয়েছেন তাঁর গ্রামেরই বাড়িতে। যাওয়ার আগে বললেন, ‘‘বাবা পরের জমিতে চাষ করে অনেক কষ্ট করে আমাকে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছেন। এখন কোথায় থাকব বুঝতে পারছি না।’’
প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উত্তোলনের সময় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বক্তৃতার ভিডিয়ো ছড়ানোর অভিযোগে ইতিহাস বিভাগের ওই ছাত্রকে পূর্বপল্লী সিনিয়র বয়েজ় হস্টেল থেকে বহিষ্কার করেন প্রোক্টর। ওই ভিডিয়ো ফুটেজে উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, সংবিধান বানানো হয়েছিল ‘মাইনরিটি’র ভোট দিয়ে। সংবিধান ‘অপছন্দ’ হলে তা বদলের কথাও বলেন উপাচার্য। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তদন্তে নেমে সোমবার রাতে ওই ছাত্রের হাতে বহিষ্কারের চিঠি তুলে দেওয়া হয়। তাতে অভিযোগ, ওই ভিডিয়োয় উপাচার্যের মর্যাদাহানি করা হয়েছে। ছাত্রের অবশ্য দাবি, উপাচার্যের তাঁদের হস্টেলে আসার স্মৃতি ধরে রাখার উদ্দেশ্যেই তিনি ভিডিয়োটি করেছিলেন।
ওই ছাত্রকে হস্টেলে ফেরানোর দাবি তোলেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। তাঁরা বলছেন, ‘‘উপাচার্যের অসাংবিধানিক বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য একজন ছাত্রকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হল, এটা আমরা মানছি না। ওকে হস্টেলে ফেরানো না-হলে আমরা আন্দোলনে নামব।’’
আরও পড়ুন: ক্লান্ত হয়ে গেলে যে সম্প্রীতির উৎসবে ঘাটতি পড়বে আমাদের