নরেন্দ্র মোদী— ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বার শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার আয়োজন হবে না। শনিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, বিশ্বভারতীর শতবর্ষ পালন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার বিশ্বভারতীর কোর্ট কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পৌষ উৎসব হলেও এ বার শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা পালিত হবে না। শনিবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিক এবং পৌষ মেলা কমিটির সদস্যদের বৈঠক হয়। বৈঠকে কোর্ট কমিটির সুপারিশই মেনে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বভারতীর একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৭ পৌষ রীতি মেনে শুরু হবে পৌষ উৎসব। ৮ পৌষ বিশ্বভারতীতে পালিত হবে প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই দিনেই সূচনা হবে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক-সহ শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্টেরা। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদীকে। তবে ওই সূত্র জানাচ্ছে, তিনি সম্ভবত আসতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানে তাঁর ভার্চুয়াল বক্তৃতার ব্যবস্থা হবে। ইতিমধ্যেই, অনুষ্ঠান ঘিরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজরাতে ছত্রাকের হানায় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে করোনা রোগীদের
বিশ্বভারতী ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার শনিবার বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর পৌষ উৎসবেরই অংশ পৌষ মেলা। আর এ বার শুধু মেলাটুকুই বাদ থাকছে।’’ বিশ্বভারতীর কর্মী মণ্ডলের সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আজ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে মেলা হবে না। শতবর্ষ পালন অনুষ্ঠানে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে সমস্ত করোনা বিধি মানা হয়। আম্রকুঞ্জে পালিত হবে প্রতিষ্ঠা দিবস।’’
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা বন্ধ এ বার, তবে পালিত হবে পৌষ উৎসব