তুলনায় বঙ্গে হিংসা কম, কোর্টে দাবি এজির

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৪১
Share:

ফাইল চিত্র।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে অনেক কম হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত। ওই সব ঘটনার জেরে দায়ের হওয়া বিভিন্ন জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই দাবি করে এজি। তাঁর বক্তব্য, খাস দিল্লি জ্বলছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও হয়েছে। ১০টি রাজ্যের ১৩টি বড় শহরে যে-সব হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তার তুলনায় এ রাজ্যের পরিস্থিতি ভাল। গত তিন দিনে এই রাজ্যে কোনও ঘটনাই ঘটেনি।

Advertisement

এজি হাইকোর্টে জানান, যখনই গোলমালের খবর পেয়েছে, তখনই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কী ধরনের ঘটনা ঘটছে, তার উদাহরণ দিয়ে এজি জানান, মেঙ্গালুরুতে দু’জন ও লখনউয়ে এক জন মারা গিয়েছেন। গোটা উত্তরপ্রদেশে এবং মধ্যপ্রদেশের ৪৩টি জেলায় ১৪৪ ধারা বলবৎ হয়েছে। আমদাবাদে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন হাজার লোককে। হায়দরাবাদে পড়ুয়ারা গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু এ রাজ্যের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে এক জনেরও মৃত্যু হয়নি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে জনস্বার্থে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে বলে ডিভিশন বেঞ্চে অভিযোগ করেন এজি।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে যে-সব মামলা হয়েছে, তার শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী স্মরজিৎ রায়চৌধুরী জানান, রাজ্যের পেশ করা রিপোর্ট ঠিক নয়। হাওড়ার জেলাশাসকের দফতরের দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তি ডিভিশন বেঞ্চে দাখিল করে তিনি জানান, জেলাশাসক জানাচ্ছেন, হাওড়ার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। তা আটকাতে ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জেলাশাসক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন। ওই আইনজীবী জানান, রাজ্যের কোথাও গুরুতর ঘটনা ঘটেনি বলে সরকারের তরফে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সদর) যে বোমার স্‌প্লিন্টারে গুরুতর আহত হয়েছন, তার কোনও উল্লেখ ওই রিপোর্টে নেই। এমন আরও উদাহরণ রয়েছে বলে জানান ওই আইনজীবী।

Advertisement

সরকারি কোষাগারের টাকা খরচ করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন না-মানার বিজ্ঞাপন দেওয়া সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে আবেদন জানান, ওই বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হোক। ডিভিশন বেঞ্চ এজি-কে জানায়, সংবাদমাধ্যমে ওই বিজ্ঞাপন জনগণের টাকা খরচ করে দেওয়া হয়েছে কি না, তা ২৩ ডিসেম্বর আদালতে জানাতে হবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হিংসাত্মক ঘটনার জেলা-ভিত্তিক রিপোর্ট পেশ করতে হবে ওই দিন। এ রাজ্যে রেলের কী ক্ষতি হয়েছে, তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে রেল-কর্তৃপক্ষকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement