প্রতীকী ছবি।
রাজ্য জুড়ে ‘পাহারায় পাবলিক’ কর্মসূচি গোড়া থেকেই ভাল সাড়া পাচ্ছে বলে দাবি করল সিপিএম। স্থানীয় স্তরে শাসক দলের নেতা বা জনপ্রতিনিধিরা কী ভাবে ‘সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছেন, তার হদিস বার করতে ওই নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বিরোধী দল সিপিএমের তরফে। দলীয় সূত্রের খবর, ওই কর্মসূচিতে কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তথ্য-ছবি জমা পড়েছে একশোর বেশি। সাংগঠনিক ভাবে তথ্য কিছুটা যাচাই করে নিয়ে তা প্রকাশ্যে আনা হবে বলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বক্তব্য।
আলিমুদ্দিনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘রামপুরহাটের ঘটনার পরে আমরা এই কর্মসূচি শুরু করেছি। রামপুরহাট হিমশৈলের চূড়ামাত্র। দুর্নীতির মাথা চিহ্নিত করতে হবে।’’ তবে একই সঙ্গে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তারা ‘সমান্তরাল প্রশাসন’ বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে এমন কোনও কর্মসূচি নিচ্ছেন না। সেলিমের কথায়, ‘‘এই ‘পাহারায় পাবলিক’ কর্মসূচির অর্থ আরএসএসের কায়দায় নজরদারি নয়! কে কী খাবে, কী পরবে, ঘরে কার সঙ্গে থাকবে বা কাকে ভালবাসবে, এ সবে নজরদারি চালানো আরএসএস-বিজেপির কর্মসূচি। আমরা চাই সিন্ডিকেট রাজ, সম্পদ ও অস্ত্রের ভাণ্ডার এবং প্রশাসনের আঁতাঁত সম্পর্কে মানুষকে সজাগ করতে। মানুষের কাছেই সেই কাজে সহায়তচা চাই। তরুণ প্রজন্মের উৎসাহকে কাজে লাগিয়ে এবং বিকল্প মাধ্যম ( সোশ্যাল মিডিয়া) ব্যবহার করে এই কাজটা হচ্ছে।’’
তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা প্রশ্ন, বাম জমানার শেষ দিকে অনুজ পাণ্ডের মতো নেতাদের বিশাল বাড়ি নজরে এসেছিল। ‘পাহারায় পাবলিকের’ মতো কর্মসূচি চালাতে গিয়ে বামেদের আলমারি থেকেও কঙ্কাল বেরিয়ে পড়তে পারে! সেলিমের জবাব, ‘‘তার জন্য তৈরি হয়েই নেমেছি! কিছু ঘটনা বার করা হতেই পারে। কিন্তু তখন তিলকে নিয়ে তাল পরিমাণ হইচই হয়েছিল। আর এখন পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হলেও তিল পরিমাণ নজর নেই! সেটা আমরা দেখাতে চাই।’’