স্বাস্থ্য বিল নিয়ে তাদের কেন্দ্রীয় শাখার সঙ্গে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে নিতে চায় আইএমএ-র রাজ্য শাখা।
বিধানসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পরেই এর তীব্র বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় আইএমএ। ওই বিলের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে তারা। ওই বিল চিকিৎসা পরিষেবার পরিপন্থী বলে অভিযোগ করে রাজ্য আইএমএ-র মধ্যেও ভাঙন ধরে। বিল বিরোধী চিকিৎসকেরা শুক্রবার আলাদা করে একটি সমাবেশও করেন।
আইএমএ-র রাজ্য নেতৃত্ব এখন তৃণমূলের হাতে। বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশ করা স্বাস্থ্য বিল নিয়ে রাজ্য আইএমএ নেতৃত্ব তাঁদের কেন্দ্রীয় শাখার বিরোধিতা করেন। বিজেপির উস্কানিতেই কেন্দ্রীয় আইএমএ রাজ্যের স্বাস্থ্য বিলের বিরোধিতা করছে— এমন অভিযোগ আনতেও ছাড়েনি রাজ্য আইএমএ। কিন্তু শনিবার দিল্লিতে রাজ্য আইএমএ-র কর্তাদের স্বাস্থ্য বিল নিয়ে আলোচনার পরে সেই ‘ভুল বোঝাবুঝি’ কেটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য আইএমএ-র সম্পাদক, তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। প্রথমে রাজ্য আইএমএ জানিয়েছিল, তারা ওই বৈঠকে যাবে না। শেষ মূহূর্তে সংগঠনের যুগ্ম সচিব শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও উপ সভাপতি এমএ কাশিমকে দিল্লি পাঠানো হয়। তার পরে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইএমএ-র নেতাদের ভিডিও কনফারেন্স হয়।
তবে কি স্বাস্থ্য বিল নিয়ে নরম হল কেন্দ্রীয় আইএমএ? তাদের এক মুখপাত্র বলেন, ওই স্বাস্থ্যবিল নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে সেগুলি দূর করার জন্য চিঠি দেওয়া হবে।