RG Kar Medical College Hospital Incident

‘ডিপার্টমেন্ট জড়িত, কিন্তু কারও নাম সিবিআইকে দিইনি’, দাবি আরজি করের নিগৃহীতা যুবতীর বাবার

গোটা ঘটনার নেপথ্যে ‘ডিপার্টমেন্ট’ জড়িত বলে এ বার দাবি করলেন নিগৃহীতার বাবা, মা। বাবার বক্তব্য, ‘‘ডিপার্টমেন্টের গাফিলতি যদি না থাকত, তা হলে এই ঘটনা ঘটত না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ২০:২৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে এক জন নন, একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন নিগৃহীতার বাবা, মা। গোটা ঘটনার নেপথ্যে ‘ডিপার্টমেন্ট’ও জড়িত বলে এ বার দাবি করলেন তাঁরা। বাবার বক্তব্য, ‘‘ডিপার্টমেন্টের গাফিলতি যদি না থাকত, তা হলে এই ঘটনা ঘটত না।’’ কিন্তু নিগৃহীতার বাবা জানালেন, তাঁরা কারও নামের তালিকা তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেননি।

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের কাঁধে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও লাগাতার জেরা করা হচ্ছে। শনিবারও তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, হাসপাতালের কয়েক জন ইন্টার্ন ও চিকিৎসকের নামের তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন মৃতার বাবা, মা। শনিবার সে কথা অস্বীকার করলেন তাঁরা। জানালেন, কারও নামের তালিকাই তাঁরা গোয়েন্দাদের দেননি। তবে মৃতার বাবার দাবি, গোটা ঘটনার নেপথ্যে বড় চক্র রয়েছে। কিন্তু সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চাননি তিনি। জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।

আরজি করে জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল চিকিৎসকের দেহ। মৃতার বাবা প্রশ্ন তোলেন, মেয়েকে কি সেখানে খুন করা হয়েছিল না অন্য কোনও জায়গায় খুন করে সেখানে এনে রাখা হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমার তো মনে হচ্ছে, কোথায় খুন করা হয়েছিল, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। হতে পারে, অন্য কোথাও খুন করা হয়েছে। হয়তো তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যই ওখানে (সেমিনার হলে) নিয়ে আসা হয় পরে।’’ শুধু তা-ই নয়, গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ারই যে আসল ‘দোষী’, তা-ও মনে করছেন না মৃতার মা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে ওই দিন সিঙ্গল রুমে ছিল। এটা ভিতরের কেউ না জানালে ধৃত জানত না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমার মেয়ের দেহ দেখে কখনওই মনে হয়নি যে, কোনও একা ব্যক্তির পক্ষে ওই কাজ করা সম্ভব। এমনকি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও আমাদের বাড়িতে এসে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার কথা বলেছেন। পুলিশি তদন্তে নিয়ে কিছু গাফিলতি চোখে পড়েছিল বলেই সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলাম।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement