বিশ্বভারতী। ফাইল চিত্র।
এ বার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং আশ্রমিকদের নিশানায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্য যে ভাবে একক নোটিস জারি করে, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের অনলাইন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের কথা ঘোষণা করেছেন, তার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তাঁরা।
প্রবীণ আশ্রমিক তথা ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বলেন, ‘‘মূল্যায়নের সমর্থন করছি। কিন্ত এই পরিস্থিতিতে মূল্যায়নের পক্ষে নয়। কারণ, গোটা দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে ঠিকই হয়েছে। কিন্তু উপাচার্য কেন এ রকম করলেন, বুঝতে পারছি না। অনলাইনে কী ভাবে পরীক্ষা হবে, সেটা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। এ-ও তো মৌখিক পরীক্ষা নয়। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। এমনিতেও এই দু’বছরে শিক্ষার উপর প্রচণ্ড প্রভাব পড়ছে। মূল্যায়ন অতি আবশ্যিক। তবে এই মুহূর্তে না করে জুলাই-অগস্টে করা যেত।’’
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন জানিয়েছেন যে, ‘‘আমি খবরের শিরোনাম ও বিভিন্ন নেটমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেখেছি। তবে এটা বিশ্বভারতীর একান্ত নিজস্ব সিদ্ধান্ত। পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৭ থেকে ৮ লক্ষ। কিন্তু বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ১০০ থেকে ২০০-র মধ্যে। এখানে মূল্যায়ন পদ্ধতিটা একবারে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষার মতো। এখানে পড়ুয়ারা জানে, কোন ধরনের প্রশ্ন হবে। জানে, কোন কোন অধ্যায় পড়ানো হয়েছে।’’
তাঁর দাবি, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সিবিএসই, আইএসি বোর্ডের মতো নয় বিশ্বভারতীর মূল্যায়ন পদ্ধতি। তবে অতিমারি পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্তের উল্টো পথে হেঁটে উপাচার্য বিতর্কিত হয়ে শিরোনামে আসতে চাইছেন বলে তাঁর মত। প্রসঙ্গত, বুধবার বিশ্বভারতীর তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের পাঠভবন এবং শিক্ষা-সত্রের প্রি ডিগ্রি পরীক্ষা ৫ জুলাই থেকে শুরু হবে। তবে লিখিত নয়, মৌখিক পরীক্ষা হবে অনলাইনে (জুম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে)। ওই পরীক্ষায় শিক্ষকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন পড়ুয়ারা। যার ভিত্তিতে দেওয়া হবে নম্বর। পরীক্ষার দিনক্ষণ, স্থান এবং অন্যান্য বিষয় পরে জানানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।