আবার বিতর্কে বিদ্যুৎ। ফাইল চিত্র।
আবার বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এ বার উপাসনাগৃহে বসে ‘স্বীকার’ করলেন, তিনি রাজনীতি করেন। একই সঙ্গে সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতি নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন তিনি। উপাচার্যের মন্তব্য, ‘‘অতিরিক্ত খেলে বদহজম হয়। আজ তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।’’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণদিবস উপলক্ষে উপাসনাগৃহে বসে কেন এ রকম মন্তব্য করলেন উপাচার্য, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আশ্রমিক এবং পড়ুয়াদের একাংশ।
২২শে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণদিবস। সকাল থেকে বৈতালি থেকে উপাসনা— নানা অনুষ্ঠান চলছে। উপাসনা পরিচালনা করেছিলেন উপাচার্য। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র, তাঁরা জানেন ‘ডেমোক্রেসি’ (গণতন্ত্র) বলতে কী বোঝায়। সরকার মানে বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল।’’ তার পর তিনি বলেন, ‘‘অনেক সময় কী হয়, এখানে বদহজম হয়ে যায়। এই বদহজমের প্রকাশ আপনারা পশ্চিমবঙ্গে দেখছেন। অর্থাৎ, আমি বলছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ তৈরি হচ্ছে। সেটাই কিন্তু রাজনীতি। গুরুদেব এটাই করতেন। গুরুদেব গ্রামে গিয়ে মানুষকে বোঝাতেন, হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ কোরো না। এটাও কিন্তু রাজনীতি।’’
নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাহ্মণ এবং অব্রাহ্মণদের আলাদা খাওয়ার ব্যবস্থা হত। গুরুদেব সেটা তুলে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, অন্যায়ের প্রতিবাদ। সেটাও কিন্তু রাজনীতি। এই যে আমি মন্দিরে বা অন্য জায়গায় বসে যে মন্তব্য করি, সেটাও কিন্তু এই মর্মে রাজনীতি। আমিও রাজনীতি করি।’’
উপাসনাগৃহে বসে উপাচার্যের এ হেন মন্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আশ্রমিক এবং পড়ুয়াদের একাংশ উপাচার্যের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। যদিও বিদ্যুতের মন্তব্য, ‘‘আমার বক্তব্য সবার মনের মতো না-ও হতে পারে। অনেকে প্রতিবাদ করতে পারেন।’’
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, উপাসনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও তিনি তা পরিচালনা করেছিলেন। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।