Bulbul cyclone

সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩৫ কিমি দূরে বুলবুল, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আঘাত সুন্দরবনে?

আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের অনুমান, শনিবার রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:২৯
Share:

চলছে তুমুল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার বিকেলে গোসাবায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

এ রাজ্যের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার আরও কাছে চলে এল অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। সাগরদ্বীপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আঘাত হানবে স্থলভাগে। আশঙ্কা বাড়ছে, বুলবুল কোথায় গিয়ে আছড়ে পড়বে তা নিয়ে। আজ রাতে কি তবে সুন্দরবন এলাকায় ছোবল মারতে চলেছে বুলবুল? না কি আরও সরে গিয়ে আছড়াবে খেপুপাড়ার কাছে? এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলছেন না আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। সাগরদ্বীপ থেকে খেপুপাড়ার মধ্যে তার বিস্তার থাকলেও দিল্লির মৌসম ভবন কিন্তু জানাচ্ছে, বুলবুল আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে এ রাজ্যের সুন্দরবন এলাকায়।

Advertisement

আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের অনুমান, শনিবার রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগের ঘূর্ণিঝড় বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘুর্ণিঝড় অনেকটা জায়গা জুড়ে আঘাত হানে। বুলবুলও অনেকটা জায়গা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে। এখনও পর্যন্ত যা গতি প্রকৃতি বোঝা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে সুন্দরবন এবং তার আশপাশেই বুলবুলের আছড়ে পড়বে।”

দেখুন বুলবুলের এই মুহূর্তে গতিপথ

Advertisement

ইতিমধ্যেই দিঘা থেকে বুলবুল ৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। কলকাতা থেকে তার দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকেও বুলবুলের দূরত্বও কমে হয়েছে ২২০ কিলোমিটার। বুলবুল আরও কাছে চলে আসায় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগও ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরও পড়ুন-জনশূন্য বকখালিতে প্রবল বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া, সরানো হল স্থানীয়দের, তদারকিতে জেলাশাসক

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সমুদ্রে বুলবুলের গতিবেগ বেশি থাকলেও, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় তার গতি কমবে। কিন্তু যে ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বুলবুল, তাতে মনে করা হয়েছে স্থলভাগে আছড়ে পড়লেও, গতি হবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। শেষ মুহূর্তে যদি শক্তি বৃদ্ধি পায়, তা হলে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতেও তা পৌঁছে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের সাতকাহন

বুলবুলের এই গতি পথে পড়ছে সাগরদ্বীপ, বকখালি-সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। হাওয়ার গতি ১২০ কিলোমিটারের আশেপাশে থাকতে পারে। সে কারণে ওই সব এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে ঠিক কোথায় আঘাত আনবে বুলবুল, এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস বলেন, “বুলবুল স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের কাছাকাছি থাকবে। রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে সে। ঘূর্ণিঝড়ের একটা বড় ঝাপটা লাগবে এ রাজ্যের সুন্দরবনে।”

আরও পড়ুন-ধেয়ে আসছে বুলবুল, অতীতে পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল যে সব ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement