পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তাঁকে অপসারণ করা হবে না। এই অবস্থায় কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় রাজ্যের অন্য উপাচার্যদের পাশে পেলেন।
ধনখড় যে-ভাবে দেবকুমারবাবুকে শো-কজ় করেছেন, তাতে উপাচার্যেরা দাঁড়াচ্ছেন দেবকুমারবাবুর পাশেই। কিছু দিন আগে গঠিত উপাচার্যদের কাউন্সিল সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, দেবকুমারবাবু যা করেছেন, নিয়ম মেনেই করেছেন। রাজ্য সরকারের তৈরি নতুন নিয়মবিধির মধ্যে থেকেই কাজ করেছেন তিনি। দেবকুমারবাবু তাঁদের জানিয়েছেন, রাজ্যপালকে সমাবর্তনে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু রাজভবন থেকে তার কোনও উত্তর আসেনি। সেই জন্য তাঁকে রাজ্যপাল ছাড়াই সমাবর্তন করতে উদ্যোগী হতে হয়েছিল। নতুন বিধি অনুযায়ী রাজ্যপাল সরাসরি উপাচার্য বা সহ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন না। যা করতে
চান, তা উচ্চ শিক্ষা দফতরের মাধ্যমেই করতে হবে।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা উপাচার্য কাউন্সিলের সভাপতি সুরঞ্জন দাস বলতে শুরু করেন। পরে তিনি বাঁকুড়ার উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে বলেন। দেবনারায়ণবাবু প্রেস বিজ্ঞপ্তি পড়ে শোনান। উত্তরবঙ্গের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ঘিরে বিতর্ক চলছিল কিছু দিন ধরে। আচার্যকে কিছু না-জানিয়ে কী ভাবে সমাবর্তনের আয়োজন করা হতে পারে, এই প্রশ্ন তুলে দেবকুমারবাবুর কাছে কারণ দর্শানোর নোটিস
পাঠান ধনখড়।