প্রতীকী ছবি ফাইল চিত্র
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার সর্বত্রই প্রতিষেধক নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও সাধারণ মানুষকে টিকা না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। অনেক হাসপাতালেই প্রতিষেধক শেষ হয়ে গিয়েছে। একাধিক হাসপাতালে নোটিস টাঙিয়ে আপাতত টিকাকরণ বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাথরপ্রতিমার মাধবনগর গ্রামীণ হাসপাতালের তরফে প্রতিষেধক না থাকায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য টিকাকরণ বন্ধ বলে নোটিস লাগানো হয়েছে। ওই হাসপাতাল সূত্রের খবর, এক সময়ে দিনে ২০০ জনের টিকা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রতিষেধক না থাকায় টিকাকরণ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। টিকাকরণ বন্ধের নোটিস টাঙানো হয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালেও। সুপার কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, “প্রতিষেধক না থাকায় বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য টিকাকরণ বন্ধের নোটিস ঝোলানো হয়েছে।”
বেশ কিছু দিন ধরেই প্রতিষেধক নিয়ে সমস্যা চলছে স্বাস্থ্য জেলা জুড়েই। দিন কয়েক আগে ওই মাধবনগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভোর থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না পাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বিবাদ বেধে যায় স্থানীয় মানুষের। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মগরাহাট ২ ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালেও টিকা না পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন। সেখানেও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযোগ, প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ নেওয়া অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ পাননি। আবার নতুন করে প্রথম ডোজ নিতে গিয়েও প্রতিষেধক না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন অনেকে।
কেন এই সঙ্কট?
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার নোডাল অফিসার রবিউল ইসলাম গায়েন বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রতিষেধক না পাঠানোয় আমরা হাসপাতালগুলিতে দিতে পারছি না। নতুন করে প্রতিষেধক পাঠানোর ব্যাপারে কথা হয়েছে।”