হেলিকপ্টার ভাড়া করতে গিয়ে প্রতারিত ব্যবসায়ী। প্রতীকী ছবি।
হেলিকপ্টার ভাড়া করে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যাবার ইচ্ছা ছিল হুগলির উত্তরপাড়া বিকে স্ট্রিটের বাসিন্দা দীপক শর্মার। চলতি মাসের ২২ মার্চ হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়ার জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগও করেন ওই ব্যবসায়ী। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কথা বলার পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অগ্রিম টাকা দেন। কিন্তু তার পর আর যোগাযোগ করতে পারছেন না ওই সংস্থার সঙ্গে। এর পর চন্দননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
বুধবার দীপকের দাবি, ‘শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী সিরিন বোর্ড’ নামে ওই সংস্থা জম্মু-কাশ্মীরের কাটরায় অবস্থিত। এরা হেলিকপ্টার ভাড়ায় দেয় বলে জানতে পারেন তিনি। সেই সংস্থার প্রতিনিধি আকাশ সিংহের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ যোগাযোগ হয় তাঁর। ফোনেও কথা বলেন তিনি। কিন্তু আকাশ তাঁকে ব্যাঙ্কের তথ্য পাঠিয়ে টাকা নেওয়ার পর আর হেলিকপ্টার ভাড়ার বরাত নিচ্ছেন না। অগ্রিম ৬,৯২০ টাকা পাঠানোর পর আরও টাকা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় তিনি আর টাকা পাঠাননি। ওদিকে ওই সংস্থার সঙ্গেও তিনি আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
দীপকের দাবি, ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনি টাকা পাঠিয়েছেন সেটা ‘জাল’। কিন্তু যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যাচ্ছে, তার তো অস্তিত্ব রয়েছে! সেটা জাল হবে কী ভাবে। তাঁর এই প্রশ্নের কোনও জবাব ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দেননি বলে দাবি ওই ব্যবসায়ীর। এর পর উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ করেন তিনি। সেখান থেকে তাকে সাইবার থানায় যেতে বলা হয়।
দীপক শর্মার কথায়, ‘‘সরকার বলছে ডিজিটাল লেনদেনের কথা। পুলিশ বলছে কাউকে ওটিপি না দিতে। কিন্তু আমি তো কোনও ওটিপি দিইনি। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছি। তাহলে ব্যাঙ্ক কেন এর দায়িত্ব নেবে না! পুলিশও বলছে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না!’’ তাহলে অনলাইন লেনদেন কি করা যাবে না, প্রশ্ন ব্যবসায়ীর।