এ বার থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে মোবাইল আনতে পারবে না। ছবি: শাটারস্টক
স্কুল চত্বরে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল শিক্ষা দফতর। এ বার থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে মোবাইল আনতে পারবে না। একই সঙ্গে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারেও বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে।
স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল-স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে শিক্ষামহলে বিতর্ক রয়েছে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফোন কথা বলা নিয়েও একাংশের পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। অভিযোগ, স্কুলে মোবাইল ব্যবহারের কারণে পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। এ বার বিষয়টি কড়া হাতেই মোকাবিলা করতে চায় শিক্ষা দফতর।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদন পাওয়ার পরই গত ৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্যদের (শিক্ষা) উপসচিব পার্থ কর্মকারের তরফে নোটিস জারি করা হয়েছে। সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-সহ পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে সমস্ত স্কুলেই এই নিময় কার্যকর হচ্ছে।
মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্যে শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পড়ুয়ারা স্কুল চত্বরে মোবাইল আর ব্যবহার করতে পারবে না। একই সঙ্গে ক্লাসে এবং ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্যে শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘন ঘন মোবাইল ব্যবহার একে বারেই নিষেধ করা হয়েছে। যদি কোনও প্রয়োজনে ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে শিক্ষকদের।
আরও পড়ুন: এত পেঁয়াজ, বাড়ছে কেন দাম: মমতা
একই সঙ্গে শিক্ষক এবং অশিক্ষকর্মীদের স্কুলে নির্দিষ্টি সময় আসার বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছে, ১০টা ৪০ থেকে ১০টা ৫০মিনিটের মধ্যে স্কুলের প্রার্থনায় অংশ নিতে হবে প্রত্যককেই। ১০টা ৫০ মিনিটের পরে কেউ স্কুলে ঢুকলে, তা ‘লেট’ হিসাবেই গ্রাহ্য হবে। সকাল ১১টা ৫ মিনিটের পরে স্কুলে ঢুকলে তাঁকে অনুপস্থিত ধরা হবে।
আরও পড়ুন: হেলমেটে ভোল বদলে পেঁয়াজ কেনার হিড়িক
অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে, অশিক্ষক কর্মীরা স্কুল শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চলে যান। সে দিকেও নজর দিয়েছে শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সাড়ে ৪টের আগে স্কুল ছাড়া যাবে না। শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে ক্লাস নেওয়ার বিষয়েও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।