বন্ধ: চরকি থেকে রংমশাল, দীপাবলিতে বিকোচ্ছে বেশি আলোবাজিই। রামপুরহাটে রবিবার। নিজস্ব চিত্র
সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি। তার পরেই কালীপুজো। দুই উৎসব ঘিরে আলোর রোশনাইয়ে শহর বা গ্রাম যেমন উজ্জ্বল হয়, তেমনই নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপটে কেঁপে ওঠে শহরের পথ বা গ্রামের অলিগলি। তবে অভিজ্ঞতা বলছে জেলায় শব্দবাজির উপদ্রব গত বছরগুলির মতো তত তীব্র হয়নি। তবে শব্দবাজির উৎপাত ছিল না এমনও নয়। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেভাগেই মাঠে নেমেছে পুলিশও।
জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ রবিবার দাবি করেন, ‘‘শব্দবাজির দাপট রুখতে পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা জুড়ে নাকা চেকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই চেকিংয়ের জন্য এখনও পর্যন্ত তেমন শব্দবাজি বাজারে দেখা যায়নি। আশা করা যায় আগামী কয়েক দিনও নাকা চেকিংয়ের ফলে শব্দবাজির দাপট রুখতে পারা যাবে।’’ পুলিশ সুপারের দাবি, নাকা চেকিং ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় শব্দবাজি বিক্রি রুখতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানেও খুব বেশি শব্দবাজি পাওয়া যায়নি।
রবিবার রামপুরহাট সহ জেলার বেশির ভাগ খোলা বাজারে শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে, এমন ছবি দেখা যায়নি। অনেক সময় লুকিয়ে, গোপনেও বাজি বিক্রি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সেটাও এ বার কমেছে। কী ভাবে? ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পুলিশের সক্রিয়তা যদি প্রথম কারণ হয় দ্বিতীয় কারণ কিছুটা হলেও সচেতনতা তৈরি হওয়া। তবে ব্যতিক্রম রয়েই গিয়েছে। জেলাবাসীর অভিজ্ঞতা বলছে, শব্দবাজির দাপট শহরে কিছু কম থাকলেও গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি ছিল। পুলিশ, প্রশাসনের নজরদারি শহরে যতটা থাকে, গ্রামাঞ্চলে অনেক কম বলে দাবি করেছেন অনেকেই। তার জেরেই এমন বিপরীত ছবি বলে অনেকের মত।
পাশাপাশি কদর বেড়েছে আলোর বাজিরও। রংমশলা, আকাশবাজি, ফানুস এই সমস্ত আলোবাজি বিক্রি করতে উৎসাহী হয়েছেন অনেকেই। রামপুরহাটের এক শব্দবাজি বিক্রেতার কথায়, ‘‘ঝাড়খণ্ডে শব্দবাজির ক্ষেত্রে তেমন নিষেধাজ্ঞা না থাকায় বছর দু’য়েক আগেও এলাকা থেকে ঝাড়খণ্ডের বাজি বিক্রেতারা নিষিদ্ধ শব্দবাজি কিনে নিয়ে যেতেন। সেটা এখন নেই বললেই চলে।’’ বাজিতে দূষণ যেমন মাত্রা ছাড়ায়, তেমনি সাধারণ মানুষ এবং পশুপাখির ক্ষতি হয়। শব্দবাজির প্রতিবাদ করে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।