প্রতীকী ছবি।
দিঘায় বেড়াতে আসা এক মহিলা পর্যটককে চায়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে দিঘা স্টেশন থেকে এক যুবক নিয়ে গিয়েছিলেন হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে। সেই হোটেলেই তাঁকে রাতভর ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে তিনি হোটেল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন জায়গাটি দিঘা নয়, সৈকত শহর লাগোয়া ওড়িশার চন্দনেশ্বর। তত ক্ষণে মহিলার সঙ্গে থাকা টাকা এবং মোবাইল নিয়ে অভিযুক্ত চম্পট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। এ দিন সকালে ওড়িশার চন্দনেশ্বর কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ওড়িশা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ওই মহিলা পুলিশকে জানান, তিনি মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা। রবিবার সকালেই তিনি দিঘায় এসেছিলেন। সন্ধ্যার ট্রেনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সন্ধ্যার ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পর স্টেশনে ঢোকেন। ওই ট্রেন ধরতে না পেরে রাতে স্টেশনেই থেকে যাবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। বছর বিয়াল্লিশের নির্যাতিতার অভিযোগ, ওই সময়েই এক যুবকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তিনি নিজের নাম আকাশ বলে জানিয়েছিলেন। নিজেকে হোটেল মালিক বলে পরিচয় দেন। অভিযোগ, ওই যুবক মহিলাকে নিজের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
সেই সূত্র ধরেই ‘সীতা’ নামে একটি হোটেলে নিয়ে যান ওই যুবক। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানে তাঁকে চা খেতে দেওয়া হয়। চা খাওয়ার পরেই তাঁর চেতনা অস্পষ্ট হয়ে যায়। মহিলার অভিযোগ, এর পরেই ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেন হোটেলের ঘরে। কিন্তু তাঁর বাধা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। সকালে তাঁর সম্পূর্ণ চেতনা ফিরলে তিনি দেখেন, ওই যুবক ফেরার। সঙ্গে লোপাট তাঁর ৫ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন। তিনি গোটা বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর বুঝতে পারেন, হোটেলটি ওড়িশায়। এর পর তিনি ওড়িশা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওড়িশা পুলিশ তদন্তে সাহায্য চাইলে আমরা সাহায্য করব। স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হতে পারে।” জেলা পুলিশের ওই কর্তার কথায়, ‘‘আমরা স্টেশন এবং দিঘার বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি বাড়াচ্ছি যাতে পর্যটকরা বিপদে না পড়েন।’’