দীর্ঘ দিন আগেই ইউনেস্কোর তরফে হেরিটেজ তকমা পেয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর)। চলতি বছরেই সেই তকমা পাওয়ার দুই দশক পূর্ণ হবে। এ দিকে ইউনেস্কোর একটি খসড়া রিপোর্টে বলা হয়েছে হেরিটেজ তকমা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পালন করেনি ডিএইচআর। ওই খসড়ায় বলা হয়েছে ডিএইচআর-এর গতিবিধি পরখ করে দেখার জন্য একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। কবে এই দল আসবে তার কোনও নির্দেশিকা এখনও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাছে আসেনি বলে দাবি করেছেন রেলকর্তারা। যদিও পর্যটন ব্যবসায়ী ও রেল আধিকারিকদের একটি অংশ মনে করছেন হেরিটেজ তকমা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর তরফে এটি চূড়ান্ত সতর্কতা হতে পারে।
এনজেপির এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘ইউনেস্কো দল পাঠাচ্ছে এরকম কোনও চিঠি আমরা এখনও পাইনি। ওদের সঙ্গে রেলের তৈরি করা ‘কম্প্রিহেনসিভ কনসারভেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ও কার্যকর করা হচ্ছে।’’ ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, সংস্থার তরফে আজ়ারবাইজানে ৩০ জুন থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে মিটিং হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। ওই মিটিংয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দার্জিলিং হিমালয়ান রেললাইনের পাশে জবরদখল, লাইনের ধারে আবর্জনা ফেলা এবং সেগুলোয় নজরদারির অভাব নিয়ে ২০১৭ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে একটি রিপোর্ট চেয়েছিল ইউনেস্কো। কিন্তু দার্জিলিং হিমালয়ান রেল তা দেয়নি বলে রিপোর্টে লেখা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, দার্জিলিং হিমালয়ান রেল একটি বাফার জ়োন অর্থাৎ লাইনের পাশে আবর্জনা, দখল হঠিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাগান তৈরি করুক। এনজেপি থেকে সুকনা এবং কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত লাইনের পাশে বেশ কিছু দখল রয়েছে, যা রেল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ দিন ধরেই তুলতে পারেনি। আগামী বছর ইউনেস্কোর তরফে ডিএইচআরকে দেওয়া ‘হেরিটেজ’ তকমা পুনর্বিবেচনা করার কথা। তার আগে এসব ‘খামতি’ মিটিয়ে নয়া রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। না হলে সেই তকমা রাখা মুশকিল বলেই ধারণা রেলকর্তাদের এক অংশের।