গঙ্গার নীচ দিয়ে গেলে সুড়ঙ্গে নীল আলো জ্বলবে। ফাইল চিত্র।
ঘণ্টা কয়েকের অপেক্ষা। তার পরেই জনসাধারণের জন্য চালু হয়ে যাচ্ছে গঙ্গার নীচের মেট্রো। সেই ‘ঐতিহাসিক’ সফরের সাক্ষী হওয়ার ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই সাধারণ যাত্রীদের জন্য চালু হয়ে যাচ্ছে এই মেট্রো।
মেট্রো রেল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৭টায় এসপ্ল্যানেড থেকে প্রথম মেট্রো ছাড়বে হাওড়া ময়দানের উদ্দেশে। প্রথম দিন গঙ্গার নীচের এই মেট্রো সফর ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই একটা উন্মাদনা রয়েছে আমজনতার মধ্যে। প্রথম দিনের এই ‘ঐতিহাসিক’ সফরে ভিড় কতটা হয়, কত যাত্রী যাতায়াত করলেন, সে দিকে নজর থাকবে।
গত ৬ মার্চ গঙ্গার নীচের মেট্রোপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন শহরের আরও দু’টি মেট্রো রুটেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে ছিল জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো। তবে শহরের বাকি দু’টি মেট্রো পথের তুলনায় এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান— এই ৪.৮ কিলোমিটার দূরত্বের রুট নিয়েই যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ অনেক বেশি।
গঙ্গার নীচে ৫২০ মিটার মেট্রোপথ যেতে সময় লাগবে ৪৫ সেকেন্ড। গঙ্গার নীচ সুড়ঙ্গে জ্বলবে নীল আলো। ওই আলোই বুঝিয়ে দেবে ট্রেন এখন গঙ্গার নীচে রয়েছে। এই রুটে যে স্টেশনগুলি রয়েছে সেগুলি হল, হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন, মহাকরণ এবং এসপ্ল্যানেড। হাওড়ায় মেট্রো স্টেশনটি রেলস্টেশনের পুরনো এবং নতুন কমপ্লেক্সের মাঝখানে। ফলে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল, উভয় দিকের যাত্রীদেরই সুবিধা হবে মেট্রো ধরতে।
উল্লেখ্য, হাওড়া স্টেশন থেকে এক টিকিটেই কবি সুভাষ বা দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। যাঁরা হাওড়ার দিক থেকে আসছেন, অন্য রুটে যেতে হলে এসপ্ল্যানেড থেকে ট্রেন বদল করতে হবে। তার জন্য যাত্রীদের যেতে হবে এসপ্ল্যানেড স্টেশন চত্বরের ‘কমন প্যাসেজ’ দিয়ে। এক মেট্রোর গেটে কার্ড বা টোকেন পাঞ্চ করে সফর করা যাবে অন্য মেট্রোয়। যেমন, ইডেনে খেলা দেখে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গেট দিয়ে ঢুকে ধরা যাবে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো। আবার ঠিক একই রকম ভাবে, নিউ মার্কেটে কেনাকাটা সেরে সামনের গেট দিয়ে ঢুকে ওঠা যাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয়।