Umbrella

‘আমব্রেলা’-বিদ্ধ সেই সুদীপ্তার নম্বর বাড়ল উচ্চ মাধ্যমিকে, পেলেন কলেজে অনার্সও

সুদীপ্তার বাবার ইচ্ছা মেয়ে বড় হয়ে শিক্ষকতা করবেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে নিয়ে যাঁরা চটুল রসিকতা করেছিলেন, তাঁদের গালে সপাটে থাপ্পড় মারতে পেরেছে ও।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫৭
Share:

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে সুদীপ্তা কলেজে ভর্তি হয়েছেন। নিজস্ব চিত্র।

নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ‘আমব্রেলা গার্ল’ ভর্তি হলেন কলেজে। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের রিভিউ, স্ক্রুটিনির ফলাফল। তাতে ইংরেজিতে পাশ করেছেন সুদীপ্তা বিশ্বাস। নদিয়ার বীরনগর শিবকালী গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছেন।

Advertisement

কয়েক সেকেন্ডের ভিডিয়ো বদলে দিয়েছিল জীবন। নেটমাধ্যম থেকে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন অষ্টাদশী। উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজিতে অনুত্তীর্ণ হয়ে স্কুলের সামনে রাস্তায় ধর্নায় বসেছিলেন নদিয়ার বীরনগর শিবকালী গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সুদীপ্তা বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েক জন সহপাঠী। অবস্থান চলাকালীন তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁদের সাত জনকে ইংরেজিতে ফেল করানো হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁরা লেটার মার্কস পেয়েছেন। তাদের ‘অনৈতিক ভাবে ফেল’ করানো হয়েছে বলে দাবি করেন সুদীপ্তা। সেই সময় ইংরেজিতে পাশ করানোর দাবিতে আন্দোলনরত সুদীপ্তাকে ‘আমব্রেলা’ বানান জিজ্ঞাসা করেন এক সাংবাদিক। বানান ভুল বলেন তিনি। তাঁর ভুল উত্তর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। টিপ্পনী, উপহাস, তাত্ত্বিকদের সমালোচনায় দিশাহারা হয়ে পড়েন সুদীপ্তা। মানসিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, কার্যত বাড়ি থেকে বেরোনো দায় হয় মেয়েটির।

উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজিতে ফেল করা ‘আমব্রেলা’ বানান ভুল বলা মেয়েটি পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানান। তাতে নম্বর বেড়েছে। এখন সুদীপ্তার ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বর ৪৪। ট্রোলিংয়ের শিকার হয়ে নেটমাধ্যমে ‘আমব্রেলা গার্ল’ বলে পরিচিত হওয়া মেয়েটি বাংলায় পেয়েছেন ৪৯, ইতিহাসে ৫৩, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫৭ এবং সংস্কৃতে ৬৫। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছেন রানাঘাট কলেজে।

Advertisement

সুদীপ্তার বাবা সুকুমার বিশ্বাস আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘যাঁদের হেনস্থায় আমার মেয়ে সে দিন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিল, ফল প্রকাশের পর নিশ্চয়ই তাঁদের বোধোদয় হবে। ওকে নিয়ে যাঁরা চটুল রসিকতা করেছিলেন, তাঁদের গালে আমার মেয়ে সপাটে থাপ্পড় মারতে পেরেছে। এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।’’ সুদীপ্তার বাবার ইচ্ছা মেয়ে বড় হয়ে শিক্ষকতা করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement