ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের মতো সারা দেশের মোট আটটি ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় ওই অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে পড়ুয়া ভর্তি নিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ইউজিসি-প্রধান। সেই সঙ্গে এই বিষয়ে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সম্মতি জানিয়েছে বলেও চেয়ারম্যানের দাবি।
ফাইল চিত্র।
বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন্দ্রীয় স্তরে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে ইউজিসি রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আদৌ সুপারিশ পাঠাতে পারে কি না। ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকারের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যাতে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা বা সিইউইটি-র মাধ্যমেই পড়ুয়া ভর্তি নেয়, সেই বিষয়ে তাঁর সংস্থার তরফে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রীদের কাছে চিঠি লেখা হবে।
এই বিষয়ে রাজ্যের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গেও তিনি কথা বলতে চান বলে জানান ইউজিসি-র চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে তিনি জানান, বুধবার প্রথম দফায় গুজরাতের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে কথা বলে তাঁরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।
ইউজিসি অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য যে-সুপারিশ করেছে, তার পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবাবু। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে ইউজিসি এ ভাবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে সরাসরি চিঠি লিখতে পারে না। ইউজিসি-র এমন একতরফা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন তাঁরা।
গত সপ্তাহেই ইউজিসি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য এ বার থেকে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে। রাজ্যের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়, ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও এই পরীক্ষার ফলের মাধ্যমে ভর্তি নেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ বার ইউজিসি চেয়ারম্যান জানালেন, এই বিষয়ে চিঠি লেখা হবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদেরও। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের মতো সারা দেশের মোট আটটি ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় ওই অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে পড়ুয়া ভর্তি নিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ইউজিসি-প্রধান। সেই সঙ্গে এই বিষয়ে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সম্মতি জানিয়েছে বলেও চেয়ারম্যানের দাবি।