চাকরি পেতে পাঠ ‘জীবন কৌশলের’

নতুন এই পাঠ্যক্রমকে ভাগ করা হয়েছে চার ভাগে: যোগাযোগের দক্ষতা, পেশাদারি দক্ষতা, নেতৃত্বদান ও পরিচালনা দক্ষতা এবং সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৬
Share:

ফাইল চিত্র।

কর্মসংস্থান বাড়াতে শিক্ষা ও শিল্পের সমন্বয় বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তাতে চাকরির বাজার উজ্জ্বল হয়েছে, এমন নয়। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের চাকরিযোগ্য করে তুলতে এবং জীবনে সফল হতে স্নাতক স্তরে ‘লাইফ স্কিলস’ বা জীবন কৌশল পাঠ্যক্রম চালু করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর জন্য একটি পাঠ্যসূচিও তৈরি করে দিয়েছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকর ব্যবহার, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শিষ্টাচার, নীতিশাস্ত্র ও সততা, প্রেম ও সমবেদনা, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, যোগ ও প্রাণায়ামের মতো বিষয় জায়গা পেয়েছে জীবন কৌশল পাঠ্যসূচিতে।

Advertisement

নতুন এই পাঠ্যক্রমকে ভাগ করা হয়েছে চার ভাগে: যোগাযোগের দক্ষতা, পেশাদারি দক্ষতা, নেতৃত্বদান ও পরিচালনা দক্ষতা এবং সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধ। স্নাতক স্তরে যে-সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সংযোগ নেই, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে এই পাঠ্যক্রম চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘দেশে তো চাকরিই নেই! এই পরিস্থিতিতে নতুন ছাত্রছাত্রীদের উপরে আরও একটি পাঠ্যক্রম চাপিয়ে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।’’ পার্থপ্রতিমবাবু জানান, চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস) চালু হওয়ার পরে ‘স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট’ নামে একটি পাঠ্যক্রম চালু হয়েছে। তার পরে আরও একটি নতুন পাঠ্যক্রম পড়ুয়াদের উপরে চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষা শিউলি সরকারও জীবন কৌশল পাঠ্যক্রম চালু করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানান, দেশে চাকরির সুযোগ কমে আসছে। ‘‘যারা প্রথম সারির কলেজগুলিতে পড়ে, তারা এমনতিই খুব ‘মোটিভেটেড’ হয়। মূলত তারাই যায় উচ্চশিক্ষায়। তাদের ক্ষেত্রে এই পাঠ্যক্রম অযথা ভার বাড়াতে পারে। আবার মাঝারি মানের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও এই পাঠ্যক্রম অতিরিক্ত চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে,’’ বলেন শিউলিদেবী। স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট কোর্স যে আগে থেকেই রয়েছে, সেটাও মনে করিয়ে দেন তিনি। বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী জানান, জীবন কৌশল পাঠ্যক্রমটি তাঁরা এখনও দেখেননি। তবে ইউজিসি নির্দেশ দিলে ওই পাঠ্যক্রম কী ভাবে চালু করা যায়, সেটা তাঁরা

Advertisement

অবশ্যই দেখবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement