উচ্চশিক্ষায় পড়াশোনাও মাতৃভাষা অথবা স্থানীয় ভাষায় হওয়া দরকার বলেও ওই চিঠিতে বলা হয়েছে। ফাইল চিত্র।
সাধারণ পঠনপাঠন ইংরেজিতে হলেও পড়ুয়াদের আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হোক। ইউজিসি চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমারের লেখা এই চিঠি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের হাতে এসে পৌঁছেছে।
ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলায় পঠনপাঠন, পরীক্ষার দাবি উঠেছে। ইংরেজিতে যে সব পড়ুয়া চৌকস নন, তাঁদের কথা মাথায় রেখে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট) বিভিন্ন পেশাদার কোর্সের বই বাংলায় ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতিতেও ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন-এর বই স্থানীয় ভাষায় ছাপানোর কথা বলা হয়েছে। ইউজিসির চেয়ারম্যান উপাচার্যদের জানিয়েছেন, কোর্স ইংরেজিতে হলেও পরীক্ষা স্থানীয় বা মাতৃভাষায় দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। উচ্চশিক্ষায় পড়াশোনাও মাতৃভাষা অথবা স্থানীয় ভাষায় হওয়া দরকার বলেও ওই চিঠিতে বলা হয়েছে। বইগুলি স্থানীয় ভাষায় অনুবাদের দিকেও উপাচার্যদের মন দিতে বলেছেন জগদেশ।
আর্থ-সামাজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী যে খসড়া ইউজিসি প্রকাশ করেছে, তাতে পড়তে পড়তে উপার্জন করার প্রস্তাব রয়েছে। পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসেই সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা, মাসে ২০ দিন কাজ করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নিয়মিত পড়াশোনার বাইরে এই ‘পার্ট-টাইম’ কাজের জন্য তাঁদের ঘণ্টা হিসাবে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। বলা হয়েছে, এতে তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য কাজের অভিজ্ঞতাও হবে। বিদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই প্রথা চালু আছে। দক্ষতা বাড়াতে পড়ুয়াদের ‘ব্রিজ-কোর্স’ করানোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। খসড়া নিয়ে মতামত ১৭ মে-র মধ্যে চাওয়া হয়েছে।