অভিন্ন প্রবেশিকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন পর্ব শুরু হবে এপ্রিলের প্রথমেই। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।
প্রতীকী ছবি।
দেশের ৪৫টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে গেলে এ বার থেকে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা (সিইউইটি) দিতে হবে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বভারতীও পড়ছে এই তালিকায়। এখন থেকে শুধু অভিন্ন প্রবেশিকায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়া যাবে। অভিযোগ উঠেছে, এর ফলে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গুরুত্ব থাকবে না। ওই নম্বর শুধু স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করার যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বিদেশি পড়ুয়াদের অবশ্য ভর্তির জন্য এই পরীক্ষা দিতে হবে না।
অভিন্ন প্রবেশিকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন পর্ব শুরু হবে এপ্রিলের প্রথমেই। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, মরাঠি, গুজরাতি-সহ ১৩টি ভাষায় কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষা হবে। ইউজিসি-র বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার নম্বর রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়, ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চাইলে ভর্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে।
ইউজিসি-র চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার মঙ্গলবার জানান, এনসিইআরটি-র পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকবে। ভুল উত্তরের জন্য নেগেটিভ মার্কিং থাকবে অর্থাৎ নম্বর কাটা যাবে। আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, তা যেমন আছে, তেমনই থাকবে। তবে ভর্তি হবে প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতেই। ওই প্রবেশিকার ফলের ভিত্তিতে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও ভর্তি নিতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি একক ভাবে তো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই এই বিষয়ে আমাদের কিছু জানাবে।’’