—প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিকের শেষ দিনে কড়া ‘গার্ড’ দেওয়ায় দুই জেলায় নিগৃহীত হলেন দুই শিক্ষক। হাওড়ার ডোমজুড়ে নকল করার অভিযোগে পরীক্ষার্থীর খাতা কেড়ে নেন শিক্ষক। অভিযোগ, তখন পরীক্ষার্থীর ধাক্কায় হাত ভাঙে শিক্ষকের। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে এক শিক্ষককে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে।
ডোমজুড়ের প্রশস্ত দুর্লভচন্দ্র সাহা বিদ্যাপীঠে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল নিবড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের। বিদ্যাপীঠ সূত্রের খবর, শনিবার এক ছাত্র নকল করায় কর্তব্যরত শিক্ষক কাশীনাথ জানা তার খাতা কেড়ে নেন। অভিযোগ, ওই পরীক্ষার্থী তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেয়। ধাক্কা দেয়। তাতেই কাশীনাথের হাত ভাঙে বলে দাবি। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাওড়া জেলা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি পর্ষদকে জানানো হয়েছে। পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
পরীক্ষা শেষে সহকর্মীদের সঙ্গে টোটোয় বাড়ি ফেরার সময় ক্যানিংয়ের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের সামনে নিগৃহীত হন সুকুমার বরকন্দাজ নামে এক শিক্ষক। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সুপারভাইজ়ার তিনি। তাঁর অভিযোগ, দু’টি মোটরবাইকে চার-পাঁচ জন যুবক এসে আচমকাই চড় কষায়। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সুকুমার বলেন, “ঠিক কী কারণে হামলা, জানি না। তবে শিক্ষকেরা কড়া গার্ড দেওয়ায় রাগের বশে হামলা হতে পারে।” তাঁর ধারণা, পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা এই কাণ্ড ঘটাতে পারেন। ঘটনার নিন্দা করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দাস বলেন, “এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।” এই বিদ্যালয়ে ক্যানিং ডেভিড সেশুন ও সেন্ট গ্যাব্রিয়াল স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ‘সিট’ পড়েছিল। কোন স্কুলের পড়ুয়া বা অভিভাবকেরা জড়িত, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সুকুমার ক্যানিংয়ের ট্যাংরাখালি পরশুরাম যামিনীপ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।