মঙ্গলবার আক্রান্ত হন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র তথা প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
বিজেপির রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি আটকে হামলার ঘটনায় স্থানীয় দুই থানা লিখিত অভিযোগ নেয়নি বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বুধবার ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপারের কাছে চিঠি দিয়েছেন শমীক। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘গত কাল পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। বুধবার আমি ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপারকে একটি চিঠি লিখে সমস্ত বিষয় জানিয়েছি। এর পরে তদন্ত কতটা হয়, তা পর্যবেক্ষণ করব।’’
গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। পুলিশ সুপারকে লেখা চিঠিতে হামলাকারীদের নামও জানানো হয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে অবশ্য বলেন, ‘‘ফলতা ও বিষ্ণুপুর থানা অভিযোগ নেয়নি, এমন তথ্য জেলা পুলিশের কাছে নেই। ওই ঘটনায় কারা জড়িত, তা নির্দিষ্ট ভাবে পুলিশকে জানালে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠা ঠিক নয়।’’
মঙ্গলবার বিকেলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে কাকদ্বীপে যাচ্ছিলেন শমীক। ডায়মন্ড হারবারের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের স্রোতের পোলের কাছে কিছু সশস্ত্র দুষ্কৃতী পথ আটকায় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর হয় শমীকের গাড়ি। তাঁকে এবং বিজেপির আরও তিন কর্মীকে গাড়ি থেকে বার করে মারধর করা হয়। প্রহৃত হন চালকও। বিষ্ণুপুর থানা এলাকার একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান শমীক। পরে বিষ্ণুপুর এবং ফলতা থানায় অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দুই থানাই অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি তাঁর।এ দিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সদস্য শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় আমাদের কর্মী-সমর্থক জড়িত নন। পুলিশ তদন্ত করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’