গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আধার কার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়া, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার-প্যান সংযোগ (কেওয়াইসি), বকেয়া ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়া, লটারি জেতার টোপ দিয়ে কী ভাবে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে হয়, হাতেকলমে তারই প্রশিক্ষণ দিতেন বিহারের চম্পারণ জেলার দুই বাসিন্দা। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় হানা দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করল জেলা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে নদিয়ার দুই যুবককেও। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক সিম কার্ড, মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ, একাধিক ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, বিহারের চম্পারণ থেকে এসে এলাকার অল্পবয়সিদের অনলাইন জালিয়াতির প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন চম্পারণ গ্যাংয়ের ওই দুই সদস্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় গ্রেফতার হয়েছেন ফারজান মণ্ডল, সৌভিক কর, অভিষেককুমার রজক, জিতেন্দ্র কুমার। ধৃতদের বয়স ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। ধৃত ফারজানের বাড়ি পলাশিপাড়া থানার বার্নিয়া এলাকায়। সৌভিকের বাড়ি নাকাশিপাড়া থানার বেথুয়াডহরিতে। অভিষেকের বাড়ি বিহারের পশ্চিম চম্পারণে। জিতেন্দ্রর বাড়ি বিহারের মাঝাউলিয়া এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে নাকাশিপাড়া থানার বামনডাঙা টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত বিহারের বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরেই অনলাইন জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। সেই কাজই তাঁরা শেখাতে এসেছিলেন নাকাশিপাড়ায়। বিভিন্ন নম্বরে ফোন করে সাধারণ মানুষকে কী ভাবে বোকা বানিয়ে টাকা হাতাতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর পুলিস জেলা ডিএসপি মত্তাকিনুর রহমান বলেন, ‘‘অনলাইন জালিয়াতির খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে চার জনকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’’