—প্রতীকী ছবি।
বাড়ি থেকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। মালদহের একটি এলাকায় সোমবার রাতের ঘটনা। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের দ্বারস্থ হন ‘নির্যাতিতা’। মহিলার ডাক্তারি-পরীক্ষা করানো হয়েছে। দুই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে কথা জানিয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
গত সপ্তাহেই মালদহের একটি এলাকায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন ও দু’দিন বাদে অন্য এলাকায় গলায় ছুরি ঠেকিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তার পরে সোমবার রাতের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
স্বামী ভিন্-রাজ্যে। বাড়িতে তিন নাবালক ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকেন বছর পঁচিশের মহিলা। কয়েকটি গবাদি পশু পালন করেন তিনি। অভিযোগ, সোমবার রাতে মহিলাকে ফোনে বলা হয়, তাঁর দু’টি গবাদি পশু বাইরে ঘুরছে। তা শুনে বাইরে বেরোতেই তাঁর মুখে কাপড় গুঁজে লাগোয়া পাটখেতের মধ্যে পরিত্যক্ত ঘরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। চিৎকার করলে, ছুরি দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা বাদে বাড়ি ফেরেন মহিলা। এ দিন প্রতিবেশী এক মহিলাকে ঘটনার কথা জানান তিনি। পরে ওই পড়শি মহিলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
নির্যাতিতা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। তাঁর পড়শি মহিলার দাবি, ‘‘অভিযোগ করলে ওঁকে প্রাণে মারার হুমকি, পরে টাকার প্রলোভনও দেওয়া হয়। কয়েক জন স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্যও চাপ দেন। কিন্তু উনি পরোয়া করেননি। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি হোক, আমরা চাই।’’ ধৃত দুই যুবকের এক জন মাটি কাটার যন্ত্র-গাড়ির চালক। অন্য জন তার সহকারী। এ দিন দু’জনেই মাটি কাটার কাজে গিয়েছিল। সেখান থেকে পুলিশ তাদের ধরে। ধৃত এক যুবকের বাবার দাবি, ‘‘ছেলে এমন কাজ করতে পারে বলে মনে হয় না। তেমন করলে, ওরা পালিয়ে যেতে পারত। তা না করে কাজে গিয়েছিল।’’ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যাতে যথাযথ তদন্ত করে, সে আবেদন করছি। অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে।’’