বনপাশ স্টেশনে আটকে পড়া সড়াইঘাট এক্সপ্রেস। নিজস্ব চিত্র
ঝড়ে প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে পর পর ২টি দূরপাল্লার ট্রেনে থমকে গেল একই লাইনে। পূর্ব বর্ধমানে এই ঘটনায় ২টি ট্রেনই আটকে থাকায় ওই লাইনের অন্যান্য ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। পাশাপাশি, গাড়ি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে বিপদে পড়েছেন সড়কপথের যাত্রীরাও।
শুক্রবার সন্ধে ৫টা ৫৯ মিনিটে আপ ১২৩৪৫ হাওড়া-গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেসের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যায় ঝাপটের ঢাল এবং বনপাশ স্টেশনের মাঝামাঝি রেলগেটের কাছে। তখন থেকে সেখানেই আটকে রয়েছে সরাইঘাট এক্সপ্রেস। অন্য দিকে, এর ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই সন্ধে ৬টা বেজে ৫ মিনিটে ১৩০১১ আপ হাওড়া মালদা টাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসেরও প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যায় ঝাপটের ঢাল এলাকাতেই। পরপর ২টি ট্রেন প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে আটকে থাকায় চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয়েছেন রেল যাত্রীরা। পাশাপাশি বনপাস স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটটিও আটকে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসী থেকে সড়কপথ দিয়ে যাতায়াতকারী নিত্যযাত্রীরা।
দূরপাল্লার ট্রেনে সফরকারী এক রেলযাত্রী গৌরব সিংহ বলেন, ‘‘আমি মুম্বই থেকে ফিরছিলাম। আমার যাওয়ার কথা মালদহে। কিন্তু ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় আমরা সবাই বনপাস স্টেশনে আটকে পড়েছি।’’ গৌরবের মতোই আরও অনেকেই এই প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে পড়ার ঘটনায় সমস্যায় পড়েছেন। তবে রেল জানিয়েছে, তারা দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্বরেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ওই ২টি ট্রেন দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকায় তার পিছনে আটকে রয়েছে আপ বর্ধমান রামপুরহাট লোকাল। বর্ধমান ও তালিত স্টেশনের মাঝে থমকে গিয়েছে ওই লোকাল ট্রেনটি। এ ছাড়া আপ বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার দাঁড়িয়ে রয়েছে বর্ধমান স্টেশনে। আপাতত এলাকায় রেলের দু’টি টাওয়ার ভ্যান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টায় কাজ করছে।’’